নয়াদিল্লি: তাঁর প্রতি অধিনায়ক বিরাট কোহলির সমর্থন থাকলেও, নির্বাচকরা ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে তাঁকে দেখতে চাইছিলেন না। সে কথা তাঁকে বলেছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এমনই জানালেন ২০১১ বিশ্বকাপের নায়ক যুবরাজ সিংহ।


গত বছর বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পেয়ে অবসরের কথা ঘোষণা করেন যুবরাজ। তিনি ভারতের হয়ে শেষবার খেলেন ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। তারপর আর জাতীয় দলে সুযোগ পাননি। এ বিষয়ে এই প্রাক্তন অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘আমি যখন জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটাই, তখন বিরাট কোহলি সমর্থন করেছিল। ও সমর্থন না করলে তখন আমার পক্ষে প্রত্যাবর্তন ঘটানো সম্ভব হত না। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আমাকে আসল ছবিটা দেখায়। ও আমাকে বলে, ‘নির্বাচকরা তোমার কথা ভাবছেন না।’ ও আমাকে বিষয়টা স্পষ্ট করে দেয়। ওর পক্ষে যা করা সম্ভব ছিল, সেটা করেছিল।’

ভারতের হয়ে ২০০৭ সালে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ ও ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন যুবরাজ। ২০০৭ বিশ্বকাপে তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ৬টি ছক্কা মেরে অসাধারণ নজির গড়েন। ২০১১ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি। তবে এই প্রতিযোগিতার পরেই তাঁর ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসার পর তিনি জাতীয় দলে ফেরেন।

জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেও, প্রাক্তন অধিনায়ক ধোনির সঙ্গে তাঁর কোনওরকম সমস্যা ছিল না বলেই দাবি করেছেন যুবরাজ। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘২০১১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমার উপর এমএসের অগাধ আস্থা ছিল। ও বলত, ‘তুমিই আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।’ কিন্তু আমি অসুস্থতার পর যখন জাতীয় দলে ফিরি, তখন দল ও খেলায় অনেককিছু বদলে গিয়েছে। তাই ২০১৫ বিশ্বকাপের বিষয়ে কাউকে দোষারোপ করা ঠিক না। আমি বুঝি, অধিনায়কের পক্ষে সবসময় সবকিছুর ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, দিনের দেশে দল কেমন পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে, সেটাই আসল।’