নয়াদিল্লি: ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে ভারতীয় দলের বিদায় নেওয়ার জন্য টিম ম্যানেজমেন্টকেই দায়ী করলেন প্রাক্তন তারকা যুবরাজ সিংহ। তাঁর দাবি, টিম ম্যানেজমেন্টের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই ভারতীয় দল জিততে পারেনি।


বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৮ রানে হেরে যায় ভারতীয় দল। এ বিষয়ে ২০১১ বিশ্বকাপের নায়ক যুবরাজ বলেছেন, ‘এই বিশ্বকাপে অম্বাতি রায়াডুকে বাদ দেওয়া হল। তারপর বিজয় শঙ্করকে নেওয়া হল, যার চোট ছিল। শেষে ঋষভ পন্থ দলে এল। ওদের বিরুদ্ধে আমার কিছুই বলার নেই। কিন্তু শঙ্কর ও পন্থ দু’জনেই মাত্র পাঁচটি করে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল। এত কম অভিজ্ঞতা থাকা ক্রিকেটারদের কাছ থেকে কীভাবে বড় ম্যাচ জেতানোর প্রত্যাশা করা যায়?’

যুবরাজ আরও বলেছেন, ‘থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক কী করছিল? দীনেশ কার্তিক গোটা প্রতিযোগিতায় সুযোগ না পেয়ে শেষে সেমিফাইনালের দলে থাকল। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মতো ব্যাটসম্যান সাত নম্বরে নামল। সব গুলিয়ে গিয়েছিল। এরকম বড় ম্যাচে এটা করা যায় না। দলের চার নম্বর ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ স্কোর ৪৮। তার মানে পরিকল্পনা ঠিক ছিল না। কারণ, টিম ম্যানেজমেন্ট ভেবেছিল রোহিত (শর্মা), বিরাট (কোহলি) ভাল ফর্মে আছে, ওরাই দলকে জিতিয়ে দেবে। কিন্তু এভাবে ম্যাচ জেতা যায় না। অস্ট্রেলিয়া ২০০৩, ২০০৭, ২০১৫ সালে সেট ব্যাটসম্যানদের নিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল। তাই আমার মতে, ভারতীয় দলের পরিকল্পনা ভুল ছিল।’

রায়াডুকে চার নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে ধরেই বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করার কথা জানিয়েছিলেন বিরাট। কিন্তু বিশ্বকাপের দলে রাখা হয়নি রায়াডুকে। তাঁকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হলেও, শিখর ধবন ও শঙ্কর চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পরেও চূড়ান্ত দলে নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে যুবরাজ বলেছেন, ‘রায়াডুর সঙ্গে যা হয়েছে তাতে আমার খুব খারাপ লেগেছে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ও আমাদের চার নম্বর ব্যাটসম্যান ছিল। নিউজিল্যান্ডে শেষ ম্যাচেও ও ৯০ রান করে ম্যাচের সেরা হয়েছিল। তারপর ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলে বিশ্বকাপ খেলতে যায়। ২০০৩ বিশ্বকাপের আগে আমরা একই দল নিয়ে খেলেছিলাম। আমাদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল। আমি ও মহম্মদ কাইফ ৩৫-৪০টি ম্যাচ খেলে ফেলেছিলাম। আমাদের টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা বেশ অভিজ্ঞ ছিল।’