নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভাবছেন ভারতের তারকা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংহ। খেলবেন না প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও। পঞ্জাবের এই বাঁ হাতি অলরাউন্ডার কেবল বেসরকারি টি-টোয়েন্টি লিগ খেলবেন বলেই মনস্থির করে ফেলেছেন। এখন অপেক্ষা কেবল বোর্ডের শিলমোহরের।


পিটিআই প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ক্যান্সার জয়ী ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের বিষয়টি এখন পুরোপুরি দোটানায়। সূত্রের খবর, সাদা বলের ক্রিকেটের প্রভাবশালী এই ক্রিকেটার ইতিমধ্যেই বুঝে গিয়েছেন ভারতের জাতীয় দলে ফেরার দরজা তাঁর জন্য কার্যত বন্ধ। ফেরার কোনও উপায়ই নেই। বিশ্বকাপের আগে একটা চেষ্টা করেছিলন ঠিকই, তবে ফিটনেস এবং পারফর্ম্যান্স আশাপ্রদ না হওয়ায় বিশ্বকাপের ভারতীয় স্কোয়াডে তাঁর জায়গা হয়নি। শোনা যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট সার্কিট থেকে একেবারে বিদায় নেওয়ার জন্য বিসিসিআইয়ের কাছে আবেদন করবেন তিনি। বোর্ড সূত্রের খবর, যুবরাজ আন্তর্জাতিক ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছেন। তবে তিনি আইসিসি অনুমোদিত টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে খেলতে চান। আর সেই কারণেই বিসিসিআইয়ের কাছে আবেদনও করবেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড সিদ্ধান্ত জানালেই কানাডার জি টি-টোয়েন্টি সহ ইউরো টি-টোয়েন্টি স্ল্যাম ইত্যাদি পেশাদার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করবেন যুবরাজ। আয়ারল্যান্ড, হল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি লিগ থেকে তাঁকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে।


উল্লেখ্য, প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিবিয়ান লিগে খেলতে যাচ্ছেন ইউসুফ পাঠান। যদিও তাঁকে নিজের নাম তুলে নেওয়ার কথা বলেছে বিসিসিআই। যুবরাজের ক্ষেত্রেও বোর্ড জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও তিনি টি-টোয়েন্টিতে এখনও একজন ‘এফেক্টিভ’ ক্রিকেটার। এবং বিসিসিআই-এর নথিতে যুবরাজের নামও রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিষয়টি বোর্ডের সংবিধান দেখে বিবেচনা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।


কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বীরেন্দ্র সহবাগ, জাহির খানের মতো তারকা ক্রিকেটাররা যদি দুবাইয়ে আয়োজিত টি-টেন লিগে খেলতে পারেন, তাহলে যুবরাজই বা কেন পারবেন না?


বিসিসিআইয়ের যুক্তি, “আইসিসি টি-টেন অনুমোদন করলেও এই ফরম্যাট এখনও পর্যন্ত স্বীকৃত নয়। তবে অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা যেতে পারে।” আর সেটা হলে, বিগ ব্যাশ, সিপিএল, বিপিএল-এর মতো প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবেন অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় ক্রিকেটাররা।