নয়াদিল্লি: ২০০৭-এর টি ২০ বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ড ব্রডের এক ওভারে যুবরাজ সিংহর ছয়টি ছক্কা হাঁকানোর ঘটনা বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম সেরা স্মরণীয় মুহূর্ত। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচ ভারত বেশ ভালো জায়গায় ছিল। কিন্তু বিধ্বংসী যুবি ভারতকে কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান। দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৩ বছর আগের ওই মহুর্ত এখনও ভারতীয় দলের সমর্থকদের কাছে অত্যন্ত মধুর। ক্রিকেটের ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে ভারতের স্টাইলিশ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের নাম।

সম্প্রতি যুবি জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্টার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের খোঁচাই তাঁকে রাগিয়ে তুলেছিল। আর প্রথম টি ২০ বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে সেই রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে তাঁর ব্যাটের ঝড়ে।

ব্রডের ওভারে যুবরাজ ছয়টি ছয় হাঁকিয়ে ১৪ বলে ৫৮ রান করেন। তাঁর ওই ইনিংসই দুই দলের জয়-পরাজয়ের ব্যবধান গড়ে দেয়। ভারত ম্যাচ জেতে ১৮ রানে।

সেদিনের ঘটনার স্মৃতিচারণ করে যুবরাজ বলেছেন, ফ্রেডি ফ্রেডির মতোই কাজ করছিল..আমাকে কিছু কথা বলে..আমিও পাল্টা ওকেও জবাব ফিরিয়ে দিই।

যুবরাজ বলেছেন, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকাতে পেরে আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। কারণ, কয়েক সপ্তাহ আগেই একটি একদিনের ম্যাচে দিমিত্রি মাসকারেনহাস আমাকে পাঁচটি ছয় মেরেছিল। ছয়টি ছয় মারার পর আমি প্রথমে ফ্রেডির দিকেই তাকিয়েছিলাম। তারপর দিমিত্রির দিকে তাকাতেই ও হেসে ফেলে।

ম্যাচের পর স্টুয়ার্ড ব্রডের বাবার সঙ্গে কী কথা হয়েছিল, তাও জানিয়েছেন যুবরাজ। ব্রড সিনিয়র এসে যুবির সই করা একটা জার্সি চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, তাঁর ছেলের কেরিয়ার তো প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে।

স্টুয়ার্ট ব্রডের বাবা  ক্রিস ব্রড ছিলেন ম্যাচ রেফারি। যুবি বলেছেন, পরের দিন ক্রিস আমার কাছে এসে বলেন, তুমি তো আমার ছেলের কেরিয়ার প্রায় শেষ করে দিয়েছ। এখন তোমার সই করা একটা জার্সি ওকে দাও। তাই আমি আমার জার্সি দিয়েছিলাম। তাতে একটা বার্তাও লিখে দিয়েছিলাম-নিজের বলেও পাঁচ ছক্কা খেয়েছি। তাই আমি জানি এই অনুভূতি। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।

স্টুয়ার্ট এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। ছয় বলে ছয় ছক্কা খাওয়ার পর কোনও ভারতীয় বোলার এমন দুরন্ত কেরিয়ার গড়তে পারবে বলে আমার মনে হয় না।