নয়াদিল্লি: ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা স্টাইলিশ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যুবরাজ সিংহ কয়েকদিন আগে সমস্ত ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। মুম্বইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে ২০১১-র বিশ্বকাপে ভারতের জয়ের নায়ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও আইপিএলকে বিদায় জানিয়েছেন।
তবে, যুবরাজের বিদায়ী বক্তৃতা শুধুই আবেগবিহ্বল ছিল না, সঙ্গে ছিল কিছু তাত্পর্য্যপূর্ণ ইঙ্গিতও। বিতর্কিত ইয়ো-ইয়ো টেস্ট নিয়ে কিছু ইঙ্গিত ছিল তাঁর বক্তব্যে।
ভারতীয় দলের উর্দ্ধতন মহলের সঙ্গে তাঁর সবকিছু ঠিকঠাক ছিল না বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল যুবরাজের কথায়। এবার ছেলের অবসর নিয়ে কিছু বিষয় প্রকাশ্যে আনার হুঁশিয়ারি দিলেন যুবরাজের বাবা যোগরাজ সিংহ।
একটি সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার যোগরাজ দাবি করেছেন, ভারতীয় ক্রিকেটের কিছু ‘নোংরা রাজনীতি’র শিকার হয়েছেন তাঁর ছেলে। যুবরাজের অবসরের ক্ষেত্রে কোনও একটা ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
ছেলের অবসর ও চলতি বিশ্বকাপে তাঁর না খেলা নিয়ে যোগরাজের অনুভূতির কথা জানতে চাওয়া হলে প্রাক্তন পেস বোলার জবাবে বলেছেন, একই ধরনের রাজনীতি এর পিছনে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ‘ব্যক্তি’র নাম উল্লেখ করেননি তিনি। তবে বিশ্বকাপের পর কিছু গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আনবেন বলে জানিয়েছেন যোগরাজ। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাঁর নাম বলতে চাই না। কিন্তু তিনি গত ১৫ বছর ধরে নোংরা রাজনীতি করে চলেছেন। ভারতীয় ক্রিকেটার কাছে পরিস্থিতি দুর্বিসহ করে তুলেছেন ওই ব্যক্তি। বিশ্বকাপ হয়ে যাওয়ার পর আমি সে সব ফাঁস করব। সেই কথা তাঁকে সারাজীবন মনে রাখতে হবে’।
যোগরাজ বলেছেন, অনেক কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটারই খেলতে খেলতে অবসরে গ্রহণের সুযোগ পাননি। এক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ হিসেবে গৌতম গম্ভীর, বীরেন্দ্র সহবাগ, ভিভিএস লক্ষ্মণের মতো ক্রিকেটারদের নাম উল্লেখ করেছেন। ৬১ বছরের যোগরাজের দাবি, এ সবের পিছনে দলের একজন ব্যক্তি দায়ী।
যোগরাজ বলেছেন, ‘মুখ বন্ধ করে রাখার মতো লোক আমি নই। আমি সবসময়ই সত্যি কথা বলি এবং যখন আমি সত্যি কথা বলি, তখন আমার সামনে কেউ আমার সামনে কথা বলে না। আমি তাঁর সম্পর্কে এখন কোনও কথা বলতে চাই না। কারণ, বিশ্বকাপ চলাকালে দলের ওপর এর প্রভাব পড়ুক, এমনটা আমি চাই না’।