মঙ্গলবার গুরুগ্রামের কর্মা লেক রিসর্টে মেরুন লেহঙ্গায় সাজেন ধনশ্রী। যুজবেন্দ্র পরেন আইভরি শেরওয়ানি, মেরুন পাগড়ি। হিন্দু মতে বিয়ে করেন তাঁরা। নবদম্পতির বিয়ের ছবি ভাইরাল হয়েছে ইন্টারনেটে। যুজবেন্দ্রই একদিন তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা তিনি সাদরে গ্রহণ করেছিলেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে আগেই জানিয়েছেন ধনশ্রী। তিনি বলেছিলেন, এপ্রিলে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের শুরু তাঁদের। ইউটউবে নাচের ভিডিও দেখে আমার সৃষ্টিশীলতার কথা জানতে পারে চাহাল। লকডাউনে যুজি নাচ সহ আরও কিছু আমার কাছে শেখার সিদ্ধান্ত নেয়। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে, আমাদের ক্লাস শুরু হয়। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব শুরু হয় আমাদের, একটা সম্পর্কে জড়ানোর অনুভূতি বোধ করি।
রোহিত নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ট্যুইট করে লিখেছেন, ‘তোমার গুগলিগুলো স্ত্রীকে কোরো না যেন, ওগুলো প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের জন্যই তুলে রাখো।’ রোহিতের সেই বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। অনেকেই রোহিতের হাস্যরসের প্রশংসা করেন।
যুজবেন্দ্র অগাস্টে তাঁদের রোকা অনুষ্ঠানের ছবি শেয়ার করে ক্যাপশন করেন, আমরাও আমাদের পরিবারের পাশাপাশি হ্যাঁ বলি। দুজনে কয়েকটা ছবির জন্য পাশাপাশি পোজ দেন, সেগুলির একটিতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও দুজনকে দেখা যায়। দুজনের সামনে লাল রঙা কাগজে মোড়া একাধিক উপহারও পড়েছিল। ধনশ্রীর পরনে ছিল ল্যাভেন্ডার রঙের লেহঙ্গা। কী করে যুজবেন্দ্র তাঁর হৃদয়-মন জিতলেন, সে ব্যাপারে ধনশ্রী প্রশংসায় তাঁকে ভরিয়ে দিয়ে বলেন, যুজি বিনম্র, মাটির মানুষ, বন্ধুসুলভ, একেবারে পারিবারিক মানুষ। ওর বিনম্রতা আমায় মোহিত করেছে। যে মূল্যবোধ নিয়ে বড় হয়েছি, চেয়েছিলাম, ঠিক তেমনই একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসাবে পেতে। আমরা উচ্চাকাঙ্খী বটে, তবে পরস্পরের পেশাকে সমর্থনও করি।