হারারে: ন’য়ের দশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (International Cricket) বেশ শক্তিশালী দল ছিল জিম্বাবোয়ে (Zimbabwe)। কিন্তু অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, মারে গুডউইন, নীল জনসন, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, হেনরি ওলোঙ্গারা বিদায় নেওয়ার পর থেকেই দলটি হীনবল হয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে পারফরম্যান্সে। ২০০৪ সালের ২৫ এপ্রিল ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিকে (ODI) লজ্জাজনক রেকর্ড গড়ে জিম্বাবোয়ে। হারারেতে সেই ম্যাচে ১৮ ওভারের মধ্যেই মাত্র ৩৫ রানে অলআউট হয়ে যান ব্রেন্ডন টেলর, ট্যাটেন্ডা তাইবু, ডগলাস হন্ডোরা।


লজ্জার রেকর্ড জিম্বাবোয়ের


এটি ছিল একদিনের সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক মারভান আতাপাত্তু। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে জিম্বাবোয়ের কোনও ব্যাটসম্যানই সেই ইনিংসে দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৭ রান করেন ডিওন ইব্রাহিম। অতিরিক্ত ৭ রান পায় জিম্বাবোয়ে।


শ্রীলঙ্কার হয়ে ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন চামিন্ডা ভাস। ৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ফারভিজ মাহরুফ। ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন দিলহারা ফার্নান্ডো।


রাসেল আর্নল্ডের (৬) উইকেট হারিয়ে ৯.২ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন সমন জয়ন্ত। ৩ রানে অপরাজিত থাকেন মাহেলা জয়বর্ধনে।


এই সময় শ্রীলঙ্কার জিম্বাবোয়ে সফরে যাওয়ারই কথা ছিল না। ২০০৪-এর এপ্রিল-মে মাসে ইংল্যান্ড দলের জিম্বাবোয়ে সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রবার্ট মুগাবে সরকারের নীতির কারণে ইংল্যান্ডের সফর বাতিল হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের বদলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড জিম্বাবোয়েতে দল পাঠাতে রাজি হয়।


সব ম্যাচেই জয় শ্রীলঙ্কার


প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ২৪০ রানে জয় পায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার জয় আসে ইনিংস ও ২৫৪ রানে। এরপর শুরু হয় একদিনের সিরিজ। প্রথম একদিনের ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস সিস্টেমে ১২ রানে জয়ী হয় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ৯ উইকেটে জয় পায় শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় একদিনের ম্যাচেও ৯ উইকেটে জয়ী হয় শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ একদিনের ম্যাচে জয়বর্ধনেরা জয় পান ৭২ রানে। পঞ্চম তথা শেষ একদিনের ম্যাচে কিছুটা লড়াই করে জিম্বাবোয়ে। এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা জয় পায় ২৫ রানে।


এই সিরিজে জিম্বাবোয়ের প্রথমসারির ১৫ জন ক্রিকেটার খেলেননি। ২০ বছর বয়সি টাইবুর বদলে হিথ স্ট্রিককে ফের অধিনায়ক করা, জাতীয় দল বাছাইয়ের নিয়ম বদল এবং ক্রিকেটারদের সমস্যা দূর করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেন জিম্বাবোয়ের জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এরই ফলে হতশ্রী পারফরম্যান্স দেখা যায়।