জোহানেসবার্গ: শরীরে মারণরোগ বাসা বেঁধেছে জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক হিথ স্ট্রিকের। আফ্রিকান উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন স্ট্রিক। জোহানেসবার্গের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই প্রাক্তন অলরাউন্ডার। জিম্বাবোয়ের বর্তমান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শন উইলিয়ামস তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ''হিথ কোলন এবং লিভারের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। যা বর্তমানে চার নম্বর স্টেজে আছে। এই পর্যায়ে আমি যা জানি তা হল, হিথের নিকটবর্তী ও পরিবারকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকা হয়েছে তার সঙ্গে দেখা করতে।''


জিম্বাবোয়ের ক্রীড়ামন্ত্রী তাঁর ট্যুইটারে লিখেছেন, ''জীবনের শেষ পর্যায়ে রয়েছেন হিথ স্ট্রিক। তাঁর পরিবারের সদস্যরা দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। একমাত্র কিছু মিরাক্যালই হয়ত ওঁকে বাঁচাতে পারে। গোটা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের কাছে আবেদন, সবাই প্রার্থনা করুন।''


দেশের জার্সিতে ১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় হিথ স্ট্রিকের। ১৯৯৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় দল জার্সিতে খেলেছেন তিনি। ৪৯ বছর বয়সি এই প্রাক্তন অলরাউন্ডার দেশের হয়ে ৬৫টি টেস্ট খেলেছেন। একই সঙ্গে ১৮৯টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ২১৬ উইকেট। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে ২৩৯ উইকেট নিয়েছেন স্ট্রিক। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি। খেলা ছাড়ার পর ২০০৯ সালে জিম্বাবোয়ে জাতীয় দলের কোচও হন। এরপর বাংলাদেশ জাতীয় দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০১৪ সালে। এক জুয়াড়ির সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ উঠেছিল স্ট্রিকের বিরুদ্ধে। এরপরই ২০২১ সালে আইসিসি তাঁকে আট বছরের জন্য় নির্বাসিত করে। যদিও পরে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। 


২০১৮ সালে কেকেআরের বোলিং কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন স্ট্রিক। এর আগে ২০১৬-২০১৭ সালে গুজরাত লায়ন্সের বোলিং কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।


পুলিশের দ্বারস্থ সচিন


এক জাল বিজ্ঞাপনে সচিন তেন্ডুলকরের ছবি, তাঁর নাম ও গলার আওয়াজ ব্যবহার করেছে, যাতেই ক্ষুব্ধ কিংবদন্তি ক্রিকেটার। সেই কারণেই তিনি মুম্বইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চের (Mumbai Crime Branch) সাইবার সেলে মামলা দায়ের করেছেন। ভারতীয় আইনের ৪২৬, ৪৬৫ ও ৫০০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এই বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন, তা এখনও জানা যায়নি। খবর অনুযায়ী, সচিনের সহায়ক এই গোটা বিষয়টি শনাক্ত করেন। ফেসবুকে এক তেলের কোম্পানির বিজ্ঞাপনে সচিনের ছবি ও তাঁর আওয়াজ ব্যবহারের বিষয়টি তাঁর চোখে পড়ে। ইন্সটাগ্রামেও সচিনের ছবি ব্যবহার করে সেই সংস্থার একাধিক বিজ্ঞাপন রয়েছে।