সিলেট: বাংলাদেশকে ১৫১ রানে হারিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে বহুপ্রতিক্ষীত জয় পেল জিম্বাবোয়ে। গত পাঁচ বছরে এই প্রথম কোনও টেস্টে জিতল আফ্রিকার এই দেশটি। সেই সঙ্গে সিলেট জিতে বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের ১৭ বছরের খরাও কাটাল তারা।
টেস্টের জয়ের জন্য ৩২১ রানের প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের।চতুর্থ দিনে সাত উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিলেন ব্রেন্ডন মাভুতা এবং সিকন্দর রাজা। এই ম্যাচেই টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে লেগ স্পিনার মাভুতার। তিনি ২১ রানে ৪ উইকেট এবং অফ স্পিনার রাজা ৪১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। অপর অভিষেককারী ওয়েলিংটন মাসকাজাদা দুই উইকেট নিয়েছেন। জিম্বাবোয়ের বোলারদের দাপটে খুপ বেশি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি আয়োজক বাংলাদেশ। ১৬৯ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা।
বাঁহাতি স্পিনার মাসকাজাদা আরিফুল হক (৩৮) রানে আউট করার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ২০১৩ তে হারারেতে পাকিস্তানকে হারানোর পর এই প্রথম কোনও টেস্ট জিতল তারা। একইসঙ্গে ১৭ বছর পর বিদেশের মাটিতে কোনও টেস্ট জিতল জিম্বাবোয়ে। ২০০১-এ চট্টগ্রাম টেস্টে তারা হারিয়েছিল বাংলাদেশকে।
ম্যাচের পর জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক বলেছেন, আমি উচ্ছ্বসিত। দলের প্রত্যেকেই মাঠে নেমে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে।
দিনের প্রথম সেশনেই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট রাজা তুলে নেওয়ার পর জয়ের গন্ধ পেয়ে যায় জিম্বাবোয়ে। সেইসঙ্গে কাইল জার্ভিস ও মাভুতাও একটা করে উইকেট তুলে নেয়। প্রথম পর্বের শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৫ উইকেটে ১১১।
বিনা উইকেটে ২৬ রান হাতে নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আধঘন্টার মধ্যেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। এরপর ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে।
বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জিতেছিল ২০০৯-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচে ৬ উইকেটে ২১৭ রান করে জিতেছিল তারা।
সেই রেকর্ড আর এবার ভাঙা হল না বাংলাদেশের। লিটন দাসের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আবেদন রিভিউ করে রাজা সফল হওয়ার পর পরপর উইকেট হারাতে থাকে তারা।
হারের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, উইকেট ভালোই ছিল। কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের প্রয়োগ করতে পারেনি। স্ট্রোক খেলার ক্ষেত্রে সাবধানতার অভাব ছিল।
ঢাকায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১১ নভেম্বর।