Layoffs: বিশ্বজুড়ে কর্মী ছাঁটাই (Employee Layoffs) প্রক্রিয়া যেন থামছেই না। গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের শেষভাগ থেকে এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে সম্প্রতি একটি সংস্থার কর্মী ছাঁটাইয়ের এমন অদ্ভুত পদ্ধতির কথা প্রকাশ্যে এসেছে যা শুনে অবাক সকলেই। শোনা গিয়েছে, সম্প্রতি একটি সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি Bishop Fox একসঙ্গে প্রায় ৫০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এর ফলে সংস্থার ওয়ার্ক ফোর্স একধাক্কায় ১৩ শতাংশ কমে গিয়েছে। TechCrunch- এর রিপোর্টে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তবে কর্মী ছাঁটাই তো অনেক সংস্থাতেই হচ্ছে, কিন্তু তাতে চমকপ্রদ কী রয়েছে? জানা গিয়েছে, Bishop Fox সংস্থা সম্প্রতি কর্মীদের জন্য একটি বিলাসবহুল পার্টির আয়োজন করেছিল। সেখানে সব আয়োজনই ছিল এলাহি। আর এই পার্টির পরেই কর্মীদের ছাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ।
কী কারণে কর্মী ছাঁটাই করেছে Bishop Fox সংস্থা
অন্যান্য সংস্থার মতো এই কোম্পানিতেও কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে বর্তমানের অর্থনৈতিক মন্দার কথাই বলা হয়েছে। অর্থাৎ এই পরিস্থিতিতে খরচ নিয়ন্ত্রণের জন্যই কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এই সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি অবশ্য এও জানিয়েছে যে তাদের ব্যাবসা ভাল পর্যায়েই রয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে নাও থাকতে পারে। সেই কারণেই Bishop Fox সংস্থা থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে।
অন্যান্য সংস্থায় সাম্প্রতিক কর্মী ছাঁটাই
প্রযুক্তি সংস্থা কগনিজেন্টও (Cognizant) এবার হাঁটবে কর্মী ছাঁটাইয়ের (Layoffs) পথে। শোনা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি প্রায় ৩৫০০ কর্মীকে পিঙ্ক স্লিপ (Pink Slip) ধরাতে পারে। অর্থাৎ কগনিজেন্ট থেকে প্রায় ৩৫০০ কর্মী চাকরি খোয়াতে পারেন। খরচ নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কগনিজেন্ট কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি বেশ কিছু অফিসও বন্ধ করতে চলেছে এই সংস্থা। সূত্রের খবর, অফিস স্পেসের নিরিখে ১১ মিলিয়ন বর্গ ফুট এলাকা ছেড়ে দেবে কগনিজেন্ট। যেনতেনপ্রকারেণ খরচ নিয়ন্ত্রণ করাই এখন সংস্থার মূল লক্ষ্য। ২০২৩ সালে কোম্পানির আয়ের পরিমাণ হ্রাস হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তি ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের মার্জিনও ঠেকেছে একেবারে তলানিতে, ১৪.৬ শতাংশে। আর এইসব মিলিয়েই এবার কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে কগনিজেন্ট সংস্থা।
এর পাশাপাশি কর্মীদের অফিসে এসে কাজ করার ব্যাপারে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এবার শোনা যাচ্ছে, বিভিন্ন generative AI tools-এ বিনিয়োগ করতে চলেছে কগনিজেন্ট সংস্থা। অর্থাৎ এবার ChatGPT-র মতো বিষয়ে বিনিয়োগ করবে কগনিজেন্ট কর্তৃপক্ষ। একথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই অনুমান করা হচ্ছে যে আগামী দিনে তাহলে কাজের অভাব হতে পারে মানুষের। কারণ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের তুলনায় অনেক দক্ষ ও দ্রুত গতিতে কাজ করে। সেক্ষেত্রে গুরুত্ব হারাতে পারে কর্মীদের কর্মদক্ষতা।
আরও পড়ুন- অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর পর তা যেন আর ফিরে না আসে, নিজের খেয়াল রাখুন নিয়ম মেনে