নয়াদিল্লি: দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে ভারতের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজার। মনে করা হচ্ছে আগামী ২০২৭ সালের মধ্যেই ভারতে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজার তিনগুণ বেড়ে এর ভ্যালুয়েশন দাঁড়াবে ১৭ বিলিয়ন ডলারে। এখন আর পরীক্ষামূলক পর্বে থেমে নেই এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আর এই গতি আরও বেড়ে তা একটি সমৃদ্ধি ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে পরিণত হবে এবং দক্ষ পেশাদারদের দ্বারা শক্তিশালী পুল নিয়ন্ত্রিত হবে বলেই মনে করছে বস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ ওরফে বিসিজি।
সমগ্র বিশ্বের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে ১৬ শতাংশ অবদান রয়েছে একা ভারতেরই। এটি দেশের জনসংখ্যার দিক থেকেও সুবিধেজনক, আর একইসঙ্গে এই বিপুল অবদানের মূলে রয়েছে শক্তিশালী STEM শিক্ষাব্যবস্থা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে একমাত্র ভারতেই এই শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে যা দেশকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
'ইন্ডিয়াজ এআই লিপ: বিসিজি পারস্পেক্টিভ অফ ইমার্জিং চ্যালেঞ্জার্স' শীর্ষক একটি রিপোর্টে বস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ জানিয়েছে যে ভারতে এআই ইকোসিস্টেম ক্রমেই মজবুত হচ্ছে আর এখন দেশে মোট ৬ লক্ষ এআই পেশাদার কর্মী রয়েছেন যার এই ইকোসিস্টেমকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। আর এর সঙ্গেই রয়েছে দেশের ৭০ লক্ষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, আর দেশে বিগত ৩ বছরে ২০০০টিরও বেশি এআই স্টার্ট আপ রয়েছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, '২০২৭ সালের মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরীণ এআই মার্কেট তিনগুণেরও বেশি বেড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলেই জানা যাচ্ছে। আর এর ফলে ভারত হয়ে উঠবে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল এআই অর্থনীতির দেশ'। এন্টারপ্রাইজ টেক বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোসিস্টেম আর ব্যাপক দক্ষতা ভারতের অর্থনীতিকে অনেক সমৃদ্ধ করে তুলবে আগামী দিনে। শুধু দক্ষতাই নয়, ভারতের পাবলিক ডিজিটাল পরিকাঠামো যেমন আধার, ইউপিআই, ডিজিলকার, আর ওপেন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কমার্স বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে সেগুলিকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলতে সহায়তা করবে।
২০২৫ সালের মধ্যেই ভারতে নতুন ৪৫টি ডেটা সেন্টার তৈরি হতে চলেছে। বর্তমানে দেশে ডেটা সেন্টারের সংখ্যা ১৫২টি যেখানে ব্যবহার হয় ১০১৫ মেগাওয়াট ডেটা যা আগামীতে আরও বাড়তে চলেছে। সরকার দেশের এআই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করেছে ১০ হাজার কোটি টাকা। আর তাই বিসিজি জানিয়েছে যে এআই এখন আর কোনও বিকল্প নয়, বরং ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।