নয়াদিল্লি : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স। AI-আগমন ঘিরে আশা-আশঙ্কার দোলাচল বিশ্বজুড়ে। বেশিরভাগই পোষণ করছেন নেতিবাচক ভাবনা। এআই-এর জেরে অনেকের চাকরি সঙ্কটে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন একশ্রেণির মানুষ। যদিও সেই দলে নাম লেখাতে নারাজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বরং নরেন্দ্র মোদির আশা, ভারতের তথ্য প্রযুক্তির  ক্ষেত্রকে বৃহদাকারে তরান্বিত করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স। সম্প্রতি OpenAI-এর সিইও স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে ভারতের AI-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি এও বলেছেন, মূলত যুব সমাজের দ্বারাই এই কাজ হবে। অন্যদিকে বৈঠকের পর OpenAI-এর সিইও স্যাম অল্টম্যানও জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নিজের উৎসাহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন আইআইটি দিল্লিতে ডিজিটাল ইন্ডিয়া ডায়ালগ ইভেন্টের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন স্যাম অল্টম্যান। 


 



এদিন স্যাম অল্টম্যান একটি ট্যুইট শেয়ার করে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, টঅন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ কথোপকথনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভারতের প্রযুক্তিগত বাস্তুতন্ত্রকে উন্নত করার ক্ষেত্রে AI-এর সম্ভাবনা সত্যিই বিশাল এবং তাও বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। আমরা সকল সহযোগিতাকে স্বাগত জানাই যা আমাদের নাগরিকদের ক্ষমতায়নের জন্য আমাদের ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে পারে।'


এর আগে, অল্টম্যান একটি টুইটে ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যত নিয়ে ট্যুইট করেছেন। লিখেছেন, 'ভারতের অবিশ্বাস্য প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম এবং কীভাবে দেশটি এআই থেকে উপকৃত হতে পারে তা নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দুর্দান্ত কথোপকথন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে সমস্ত বৈঠক সত্যিই উপভোগ করেছি।'






যদিও আবির্ভূত হওয়া ইস্তক তাকে নিয়ে হইচই সর্বত্র (AI Dominance)। জাদুদণ্ড বললেও ভুল হয় না তাকে। কারণ কৃত্রিম মেধা তথা Artificial Intelligence-এর দৌলতে কল্পনা-বাস্তবের মধ্যে ফারাক ঘুচে যাচ্ছে প্রায় নিত্যদিনই। অসম্ভব বলে থাকছে না আর কিছুই। কিন্তু প্রযুক্তির এই বিপ্লবই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্মজীবী মানুষের (Tech News)। AI-এর বাড়বাড়ন্তে কর্মজীবী ভারতীয়দের ৭৪ শতংশই চাকরি হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন বলে দেখা গিয়েছে রিপোর্ট (Microsoft Survey)। 


গত কয়েক মাসে ChatGPT, Google Bard এবং Microsoft Bing Chat একে একে আত্মপ্রকাশ করায় এমনিতেই চাকরিজীবী মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। সাধারণ কর্মজীবী মানুষের মনেও আশঙ্কার মেঘ জমা হতে শুরু করেছে। সংস্থাগুলি প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গেলে, খেটে খাওয়া মানুষের প্রয়োজন ফুরোবে বলে মনে করছেন তাঁরা। তাতে ভবিষ্যৎ নিয়ে দোলাচলে পড়েছেন তাঁরা।