Artemis 1: দু'বার ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে চন্দ্রাভিযানে সফল হয়েছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা (NASA)। তৃতীয়বারে সফলভাবে আর্টেমিস ১ (Artemis 1) মেগারকেট উৎক্ষেপণ করেছে তারা। এই রকেট লঞ্চ করা হয়েছে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চপ্যাড থেকে। এর আগে অ্যাপোলো মিশনের সময় ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে চাঁদের মাটিতে নভশ্চরদের পাঠিয়েছিল নাসা। অর্থাৎ ৫০ বছর পর এবার আর্টেমিস ১ মেগা-রকেট পাঠিয়েছে তারা। ৩২ তলা বিল্ডিং সমান উঁচু এই Space Launch System (SLS) উৎক্ষেপণের মুহূর্তের ভিডিও ট্যুইটারে শেয়ার করেছে নাসা। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে। দেখে নিন আর্টেমিস ১ লঞ্চের সেই মুহূর্ত।


 






চাঁদে পুনরায় নভশ্চরদের পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। তারই প্রাথমিক পর্যায় ছিল আর্টেমিস ১ মিশন। সফলভাবে মেগারকেট উৎক্ষেপণ হয়ে গিয়েছে। এবার চাঁদের কাছে পৌঁছে যাবে যাত্রীবিহীন মহাকাশযান ওরিয়ন। ৫০ বছর পর ফের চাঁদের মাটিতে মানুষ পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি। তাদের এই মিশন সম্পন্ন হবে তিনটি পর্যায়ে। প্রথম ধাপে আর্টেমিস ১ মিশন। এর সাহায্যে যাত্রীবিহীন মহাকাশযান ওরিয়ন পাঠানো হয়েছে ক্যাপস্যুলের সাহায্যে। এর মাধ্যমেই চাঁদের মাটিতে নভশ্চরদের নামার আগে সমস্ত পরিস্থিতি খুঁটিয়ে দেখা হবে। কোন কোন এলাকায় অবতরণ করলে অভিযান সফল হবে সেই ব্যাপারেও ধারণা করা হবে। 


এরপর রয়েছে আরও দু'টি পর্যায়। বছর দুই পরে অর্থাৎ ২০২৪ সালে Space Launch System (SLS) রকেটের আরও শক্তিশালী ও উন্নত ভার্সান ব্যবহার করে আর্টেমিস ২ মিশন লঞ্চের পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। এই মিশনে ক্রু যুক্ত মহাকাশযান পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তারপরের বছরই অর্থাৎ ২০২৫ সালে আর্টেমিস ৩ মিশন লঞ্চের পরিকল্পনা ছকে ফেলেছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি। এই তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে চমক। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এখনও সেভাবে অভিযান চালানো হয়নি। সেখানে প্রথম মহিলা ও প্রথম পুরুষ মহাকাশচারীকে অবতরণ করানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। শোনা যাচ্ছে, ২০৩০ সালে মঙ্গল অভিযানের পরিকল্পনাও রয়েছে নাসার। এর আগে একাধিকবার আর্টেমিস ১ লঞ্চের দিনক্ষণ পিছিয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণে এর আগে দু'বার মিশনে ব্যর্থ রয়েছে নাসা। তবে অবশেষে সফলভাবে উৎক্ষেপণ সম্ভব হয়েছে। 


আরও পড়ুন- ভারতের প্রথম বেসরকারি রকেট 'বিক্রম-এস', কবে উৎক্ষেপণ করা হবে এই রকেট?