Twitter: ট্যুইটারের নতুন সিইও খুঁজছেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)! সম্প্রতি এমন তথ্যই প্রকাশ্যে এসেছে। কয়েকদিন আগেই ইলন মাস্ক ঘোষণা করেছিলেন যে ট্যুইটারের সিইও (Twitter CEO) পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি। এবার শোনা গিয়েছে, জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং মাধ্যমের জন্য নতুন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার খুঁজছেন ইলন মাস্ক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ট্যুইটারে একটি Poll অর্থাৎ ভোট করেছিলেন তিনি। সেখানে ইলন মাস্ক ইউজারদের জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁর সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত কিনা। এই Poll- এর ক্ষেত্রে প্রায় ১০ মিলিয়ন ইউজার সম্মতি জানিয়েছেন, অর্থাৎ তাঁদের মতে ট্যুইটারের সিইও পদ থেকে ইলন মাস্কের সরে দাঁড়ানো উচিত। এরপরেই একটি ট্যুইটে মাস্ক লিখেছেন, এই চাকরি নেওয়ার মতো বোকা কাউকে পেলেই তিনি সিইও পদ থেকে সরে যাবেন। তারপর শুধুমাত্র সফটওয়ার এবং সার্ভার দল চালাবেন। বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে, জোরকদমে ট্যুইটারের নতুন সিইও খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছেন ইলন মাস্ক। এমনকি এও শোনা গিয়েছে যে, ট্যুইটারে এই Poll বা ভোট করার আগে থেকেই নাকি ট্যুইটারের নতুন সিইও খোঁজার কাজ চালু হয়েছে। তবে এখনও ট্যুইটারের সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করেননি ইলন মাস্ক। 


ট্যুইটারে নিষিদ্ধ হয়েছে কু (Koo)। বলা ভাল ভারতীয় মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মের (Microblogging Account) অ্যাকাউন্ট @kooeminence ট্যুইটার মাধ্যম থেকে ব্যান করা হয়েছে। ট্যুইটারের (Twitter Ban) সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্যই তৈরি হয়েছে এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম কু। ট্যুইটারে @kooeminence ব্যান হওয়ার পর থেকেই প্রকাশ্যে ট্যুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্কের তুলোধনা করেছেন কু- এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই ট্যুইটারে চলছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার হিড়িক। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন প্রথিতযশা সাংবাদিক যাঁরা বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের অ্যাকাউন্ট ব্যান করেছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার রেশ কাটার আগেই কু- এর অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে ট্যুইটারে। ইলন মাস্ক ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বারবার 'ফ্রিডম অফ স্পিচ' অর্থাৎ বাক-স্বাধীনতার কথা বলেছেন। অথচ এভাবে একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এবার প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ট্যুইটারের নয়া মালিক মাস্ক। 


অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ট্যুইটারের দায়িত্ব নিয়েছেন ইলন মাস্ক। হয়েছেন জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং মাধ্যমের নতুন সিইও। তারপর থেকেই একাধিক পরিবর্তন হয়েছে ট্যুইটারে। প্রথমে কর্মী ছাঁটাই দিয়ে শুরু হয়েছিল। ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই হয়েছে ট্যুইটারে। বাদ যাননি উদ্দপদস্থ কর্তারাও। এরপর ট্যুইটারের একাধিক নিয়ম কানুনেও এসেছে পরিবর্তন। 


আরও পড়ুন- নভেম্বরেও বিপুল সংখ্যক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ, অক্টোবরের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি