Tweet Character: ট্যুইটারের ক্ষেত্রে ট্যুইট (Tweet) করার ক্যারেক্টার (Tweet Character) সংখ্যা বাড়তে চলেছে, একথা অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। এবার এক ট্যুইটারিয়ান প্রস্তাব দিয়েছেন ট্যুইট করার ক্যারেক্টার সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০০ করা হোক। সেই প্রস্তাব শুনে ইলন মাস্কও ট্যুইটে লিখেছেন এটা তাঁদের To Do List- এ রয়েছে। বর্তমানে ২৮০ ক্যারেক্টার ব্যবহার করে ট্যুইট করতে পারেন ইউজাররা। প্রথমে শোনা গিয়েছিল যে তা বাড়িয়ে ৪২০ করা হবে। তবে এবার অনেকে মনে করছেন হয়তো ট্যুইট করার ক্যারেক্টার সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০০- ও করা হতে পারে। ট্যুইট করার ক্যারেক্টার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি শোনা গিয়েছে যে এনক্রিপ্টেড ডিরেক্ট মেসেজ বা ডিএম, পেমেন্ট সার্ভিস- এইসব ফিচার নিয়েও কাজ শুরু করেছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। তবে এইসব ফিচার কবে চালু হবে তা জানা যায়নি। এমনকি ট্যুইট করার ক্যারেক্টার সংখ্যা বাড়বে কিনা সে ব্যাপারেও নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথমদিকে ট্যুইট করার ক্ষেত্রে ১৪০টি ক্যারেক্টার ব্যবহার করা হত। ২০১৮ সালে এই ক্যারেক্টার সংখ্যা বাড়িয়ে ২৮০ করা হয়েছিল। অনেকেই মনে করছেন যে নতুন ফিচার চালু করার আগে হয়তো ট্যুইটারে একটি পোল করতে পারেন ইলন মাস্ক। অর্থাৎ ইউজারদের কাছেই জানতে চাওয়া হবে যে ক্যারেক্টার বাড়ানো উচিত কিনা, আর বাড়ালেও কত সংখ্যা করা উচিত। তারপর ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ট্যুইটারে এভাবে ভোটের মাধ্যমেই 'এডিট' অপশনও চালু হয়েছিল। 


Twitter Blue: ফের পিছিয়ে যেতে পারে ট্যুইটার ব্লু সাবস্ক্রিপশনের লঞ্চ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অ্যাপেলের অ্যাপ স্টোরে ট্যুইটার অ্যাপ রাখতে হলে ৩০ শতাংশ অ্যাপ স্টোর ফি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর তার জন্যই ট্যুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক প্রিমিয়াম ব্লু সাবস্ক্রিপশন লঞ্চ পিছিয়ে দিতে পারেন। এর আগে ২৯ নভেম্বর ট্যুইটার ব্লু সাবস্ক্রিপশন লঞ্চ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে যায়। এরপর ২ ডিসেম্বর লঞ্চ হওয়ার কথা ছিল ট্যুইটার ব্লু সাবস্ক্রিপশন। কিন্তু শোনা যাচ্ছে এবারও পিছিয়ে যেতে পারে ট্যুইটারের এই ফিচারের লঞ্চ। উল্লেখ্য, যদি এবারও এই ফিচারের লঞ্চ পিছিয়ে যায়, তাহলে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ট্যুইটার ব্লু সাবস্ক্রিপশনের লঞ্চ পিছিয়ে যাবে। 


গত কয়েকদিনে ইলন মাস্ক অ্যাপেল অ্যাপ স্টোরের পলিসি অর্থাৎ নিয়ম নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। চলছে জোরদার সমালোচনাও। ট্যুইটারে অ্যাপেল কেন বিজ্ঞাপন দিচ্ছে না তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। তবে ইলন মাস্কের একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও অ্যাপেলের তরফে কিছু বিবৃতি দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, যদি অ্যাপেল স্টোর এবং গুগল প্লে স্টোর থেকে ট্যুইটার অ্যাপ সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তিনি নিজেই বিকল্প স্মার্ট ফোন তৈরি করবেন। যদিও ইলন মাস্ক জানাননি তিনি কী ফোন তৈরি করবেন। 


আরও পড়ুন- ওয়ানপ্লাস নর্ড সিরিজের নতুন ফোন লঞ্চ হতে চলেছে, কী কী ফিচার থাকতে পারে, দেখে নিন