Elon Musk: ট্যুইটার কিনেই সিইও পরাগ আগারওয়াল সহ কোম্পানির বেশকিছু কর্তাকে সরিয়ে দিয়েছেন এলন মাস্ক। রিপোর্ট বলছে, 'অপছন্দের লোকজনকে' ছাঁটাই করতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে মাস্ককে। ট্যুইটারের তিন বড়কর্তাকে বরখাস্ত করতে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে টেসলার কর্ণধারকে। 


টুইটারের মালিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলন মাস্ক কোম্পানির তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন। এই অফিসারদের মধ্যে দুজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। চাকরি থেকে বরখাস্ত তিন কর্মকর্তাকে কোটি কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে মাস্ককে। বর্তমানে পরাগ আগরওয়ালকে সিইও পদ থেকে সরিয়ে নিজেই পদটি গ্রহণ করেন এলন।  এখন টুইটারের অন্তর্বর্তীকালীন সিইও হয়েছেন তিনি। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাস্ক পরাগ আগরওয়াল সহ তিনজন শীর্ষ টুইটারের এক্সিকিউটিভকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেবেন।


Twitter Update: কে কত ক্ষতিপূরণ পাবেন ?
ছাঁটাইয়ের পর পরাগ আগরওয়াল ৫০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪১২ কোটি টাকা), টুইটারের সিএফও নেড সেগাল ৩৭ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা) ও বিজয়া গাড্ডে, যিনি কোম্পানির আইনি পলিসির নীতি নির্ধারক ছিলেন, ১৭১ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৪০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।


Twitter Update : ২৮ অক্টোবর মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার নিয়েই সিইও পরাগ আগরওয়াল ও সংস্থা বড়কর্তাদের ছেঁটে ফেললেন এলন মাস্ক। শুক্রবারের মধ্য়েই ট্যুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন করার কথা ছিল টেসলার কর্ণধারের। সংবাদ সংস্থা AFP জানাচ্ছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্য়েই এই কাজ করেছেন এলন।


Twitter Fires Top Executives: চাকরি গেল কাদের ?


মাস্কের এই কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়েছে , ট্যুইটার সিইও পরাগ আগরওয়াল ছাড়াও সংস্থার আইনি নীতি ও ট্রাস্টের প্রধান বিজয় গাড্ডে ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার নেদ সেগালকে সরিয়ে দেন মাস্ক। ছাঁটাইয়ের তালিকায় রয়েছে আরও বেশকিছু নাম। এর মধ্য়ে কোম্পানির অনেক বড় পদের আধিকারকরাও রয়েছেন। 


Elon Musk  Takes Control Of Twitter:  আগেই পরাগের সঙ্গে দ্বন্দ্ব


মাস্ক ট্যুইটার কিনলে পরাগের চাকরি যাওয়াটা ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। এদিন সংবাদ সংস্থাগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী সেই ঘটনাই ঘটেছে। ট্যুইটার কেনার আগেই পরাগ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে মাইক্রো ব্লগিং সাইটে সরব হয়েছিলেন এলন মাস্ক। এমনকী কোম্পানির বোর্ডের সঙ্গে একমত হলেও পরাগকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে একরোখা ছিলেন তিনি। প্রকাশ্যে আগরওয়ালকে ছাঁটাইয়ের কথা না বললেও এলন ইঙ্গিত ছিল সেই দিকেই। মাস্কের অভিযোগ, সংস্থার ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিয়ে তাঁকে ও ট্যুইটারের বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছিলেন মাস্ক ও কোম্পানির বেশ কয়েকজন বড় কর্তা। এদিন ক্ষমতা হাতে নিয়েই তাই এদের ওপর পড়ল রোশের খাঁড়া।