নয়াদিল্লি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় অর্থ দফতর। ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ দফতর তার কর্মীদের চ্যাটজিপিটি (ChatGPT), ডিপসিকের মত এআই টুল ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি প্রশাসনিক কাজকর্মে এই ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Tool) ব্যবহার না করার নিদান দিয়েছে কেন্দ্র, এর ফলে সরকারের গোপনীয়তা (Finance Ministry) নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায় বলেই জানিয়েছে অর্থ দফতর। আভ্যন্তরীণ উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রস্তাবে জানা গিয়েছে সরকারি নথি ও তথ্য বাইরে ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে এই ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করলে।
একইভাবে ডিপসিকের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অস্ট্রেলিয়া এবং ইতালিও। সেক্ষেত্রেও তথ্য সুরক্ষা নিয়ে ঝুঁকির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। মঙ্গলবার এই বিষয়ে অর্থ দফতরের প্রতিবেদন হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। আজ বুধবার ওপেন এআই-এর প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানের ভারতে আসার আগেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় দফতর। কেন্দ্রের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে স্যাম অল্টম্যানের।
২৯ জানুয়ারি ভারতের অর্থ দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, 'চ্যাটজিপিটি এবং ডিপসিকের মত এআই টুল এবং এআই অ্যাপ অফিসের কম্পিউটার এবং যন্ত্রাংশে থাকলে সরকারি নথি ও তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।' ভারতের অর্থ দফতরের বেশ কিছু প্রতিনিধির এই বিষয়ে মন্তব্যে কোনো উত্তর দেয়নি চ্যাটজিপিটি, ডিপসিক। অর্থ মন্ত্রকের তিনজন আধিকারিক এই মর্মে নিশ্চিত করেছেন যে এই সপ্তাহেই আভ্যন্তরীণ একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য কোনো কেন্দ্রীয় দফতরের জন্য এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি রয়টার্স সূত্রে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির সঙ্গে বর্তমানে চ্যাটজিপিটি একটি হাই প্রোফাইল কপিরাইট লঙ্ঘনের আইনি যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছে। আদালত জানিয়েছে যে ভারতে এই এআইয়ের কোনো সার্ভার নেই এবং ভারতীয় আদালতের এই বিষয়ে শুনানি করা উচিত নয়। সাম্প্রতিক সময়ে চ্যাটজিপিটিকে টেক্কা দিতে বাজারে এসেছে চিনের ডিপসিক আর এই নয়া এআইকে ঘিরেও ভারতের ভ্রুকুটি নজর এসেছে। ডিপসিকের গোপনীয়তা নীতি প্রকাশ করে যে এটি চিনে অবস্থিত সার্ভারে ব্যক্তিগত তথ্য এবং আপলোড করা ফাইল সহ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা সংরক্ষণ করে। কিন্তু সেই কারণেই দেশের মধ্যে ডেটা না রাখার কারণে ভারতের ডেটা সুরক্ষা নীতির পরিপন্থী এই ঘটনা। আর এটাই সরকার ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।