Gmail: বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ব্যবহার করেন জিমেল (Gmail)। টেক জায়ান্ট গুগলের (Google) এই সার্ভিসে অভ্যস্ত প্রায় সকলেই। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত কাজে নয়, কর্মক্ষেত্রে অর্থাৎ অফিশিয়াল ভাবেও ব্যবহার করা যায় জিমেল। গুগলের এই মেল পরিষেবার ক্ষেত্রে এক ছাতার তলায় পাওয়া যায় একাধিক সুবিধা। এর পাশাপাশি ইউজারদের ১৫ জিবি ফ্রি ক্লাউড স্টোরেজ স্পেসও দিয়ে থাকে। সব ধরনের সার্ভিসের জন্য মোট ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ থাকে। গুগল ফটো (Google Photos) আর গুগল ড্রাইভের (Google Drive) ক্ষেত্রেই বেশিরভাগ ফ্রি স্টোরেজ (Free Storage) যুক্ত থাকে।


আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে গুগলের এই জিমেল পরিষেবা ব্যবহার করেন এবং অপ্রয়োজনীয় ইমেল মুছে না ফেলেন তাহলে ক্লাউড স্টোরেজ স্পেসের অনেকটা জায়গা দরকারি নয় এমন জিনিসে ভরে থাকবে। তাই কতটা স্টোরেজ ফাঁকা রয়েছে, কী কী ইমেল অপ্রয়োজনীয় রয়েছে তা নজরে রাখা দরকার। নির্দিষ্ট সময়ান্তরে এই বিষয়টা খেয়াল রাখলে কখনই স্টোরেজ স্পেসের ঘাটতি পড়বে না। অর্থাৎ এমন অবস্থা হবে সে স্টোরেজ একদফম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।


জিমেলে কীভাবে স্টোরেজ স্পেস তৈরি করবেন



  • ফোনের মাধ্যমেই এই কাজ করা সম্ভব। প্রথমে স্মার্টফোনে জিমেল খুলতে হবে। তারপর নিজের প্রোফাইলে আইকনের উপর ট্যাপ করতে হবে। স্ক্রিনের ফোনের স্ক্রিনে ডানদিকের কোণে এই আইকন থাকে।

  • এই আইকনে ট্যাপ করার পরেই একটি ক্লাউড আইকন দেখতে পাবেন ইউজাররা। সেখানেই লেখা থাকবে কতটা স্টোরেজ স্পেস খরচ হয়েছে।

  • এবার ওই ক্লাউডে আইকনে ট্যাপ করলে ইউজার আরও বিস্তারিত তথ্য পাবেন। অর্থাৎ গুগলের কোন সার্ভিসের ফলে কতটা স্টোরেজ খরচ হয়েছে সেটা দেখা যাবে। এখানে গুগলের তরফে একটি গ্রাফও দেখানো হবে।

  • এখানে ‘clean up space’ অপশন দেখতে পাবেন ইউজাররা। এই বাটনে ট্যাপ করলে স্টোরেজ ম্যানেজার টুল অ্যাকসেস করা যাবে। এখানে আবার ‘large items’ বলে একটি বিভাগ দেখতে পাবেন। এখানে বড় সাইজের ফাইলগুলো দেখার পাশাপাশি ডিলিট করার সুবিধাও পাওয়া যাবে। বড় সাইজের ফাইল ডিলিট করলে একসঙ্গে অনেকটা স্টোরেজ ফাঁকা হয়ে যাবে।

  • ‘large items’ লেখার তলায় থাকা বক্সে ক্লিক করলেই সমস্ত ফাইলের তালিকা দেখা যাবে। এই ফাইলগুলি ট্যাপ করে ইউজার বিস্তারিত তথ্যও জেনে নিতে পারবেন। তারপর সিলেক্ট করে সহজেই ডিলিট করে দেওয়া যাবে।


আরও পড়ুন- প্লে স্টোর, অ্যাপ স্টোর থেকে সরল PUBG, নিষেধাজ্ঞা না অন্য কারণ ?