নয়াদিল্লি: কর্মক্ষেত্রে আদর্শ পরিবেশ হিসেবেই এতদিন শীর্ষস্থান দখল করে ছিল তারা। কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদানের জন্যই ছিল পরিচিতি। এ বার খরচে লাগাম টানতে উদ্য়োগী হল সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলও  (Google)।  তাই ফ্রি স্ন্যাক্স থেকে লন্ড্রি সার্ভিস, মাসাজ এবং নিখরচায় খাওয়াদাওয়ার সুবিধাও তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। (Goodle Expenses)


খরচ কমাতে তৎপর হয়ে উঠেছে সংস্থা


কর্মীদের ব্যবহারের টিস্যু পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়ায় এর আগে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল ইলন মাস্কের ট্যুইটার। এ বার সেই তালিকায় নাম জুড়তে চলেছে গুগলের। সংস্থার একটি সূত্র জানাচ্ছে, খরচ কমাতে তৎপর হয়ে উঠেছে সংস্থা। তাই এতদিন ধরে বিনামূল্যে স্ন্যাক্স, লন্ড্রি সার্ভিস, মাসাজ এবং নিখরচায় মধ্যাহ্নভোজের যে ব্যবস্থা ছিল, তা তুলে দেওয়ার কথা চলছে।


শুধু তাই নয়, বছর ভর গুগলে নিয়োগের যে রীতি ছিল, তাতেও লাগাম টানা হচ্ছে বলে খবর। সূত্রের খবর, গুগলের চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার রুথ পোরাট খরচ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার সেই মর্মে চিঠিও পৌঁছেছে কর্মীদের হাতে।  তাতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার গতি শ্লথ করার কথা যেমন বলা হয়েছে, তেমনই সংস্থার বিধি-নিয়মে পরিবর্তন আনার কথাও রয়েছে।


আরও পড়ুন: Rishi Sunak: প্রাইভেট জেটে সফর! এক সপ্তাহেই ৪.৫ কোটি খরচ! প্রশ্নের মুখে ঋষি সুনক


এখানেই শেষ নয়, সূত্রের খবর, চিঠিতে বলা হয়েছে, কর্মীদের ব্যবহারের জন্য় ল্যাপটপের টাকাও আর দেবে না সংস্থা। অবস্থান বিশেষে, কোন দফতরে কী কী সুবিধার প্রয়োজন, তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে।  গুগলের এমন পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূরণ বলে মনে করছেন কর্মীরা। যদি সংস্থার দাবি, উল্টোপাল্টা খরচ কমিয়ে অন্য পরিষেবাগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।


আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের ব্যবহার বাড়ানোকে প্রাধান্য


তবে এমনটা ঘটতে চলেছে বলে আগেই আঁচ পেয়েছিলেন কর্মীরা। কারণ বছরের শুরুতেই সিইও সুন্দর পিচাই জানিয়েছিলেন, গুগলের ৬ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করা হবে। এদিক ওদিক টাকা খরচের পরিবর্তে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের ব্যবহার বাড়ানোকে প্রাধান্য দেওয়ার কথাও বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। 


সংস্থা খরচ কমানোয় তাই উদ্বেগে কর্মীরা। কারণ এতদিন গুগল আদর্শ কাজের জায়গা হিসেবেই পরিচিত ছিল। কর্মীদের জন্য নিখরচায় খাবারের বন্দোবস্ত করা ছাড়াও, একাধিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করত গুগল। তার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের কাছে কাজের আদর্শ জায়গা হিসেবেই পরিচিতি ছিল গুগলের।