লন্ডন: টালমাটাল অর্থনীতির উপর রাজনৈতিক দোলাচলের খাঁড়া। রেহাই পেতে রদবদল ঘটেছিল সরকারে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে ব্রিটেনে ইতিহাস গড়েছিলেন ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তার পর পাঁচ মাস যেতে না যেতেই ফের বিতর্কের কেন্দ্রে তিনি। বিলাসী জীবনযাপনের জন্য সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন নতুন করে (Rishi Sunak Expenses)।


শুধুমাত্র প্রাইভেট জেটে যাতায়াত করতেই ওই বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ!


এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময়ে ঋষি জনগণের ৫ লক্ষ ইউরোর বেশি খরচ করেছেন বলে অভিযোগ, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, সেই অনুযায়ী, শুধুমাত্র প্রাইভেট জেটে যাতায়াত করতেই ওই বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করেছেন ঋষি।


২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন ঋষি। তার পরই ৬ নভেম্বর মিশরে COP27 সম্মেলনে যোগ দেন। পর দিনই ব্রিটেনে ফিরে আসেন তিনি। তার পর আবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনে যান। মিশর যেতে ১ লক্ষ ৮০ হাজার এবং বালি যেতে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ইউরো ঋষি খরচ করেন বলে অভিযোগ।


শুধু তাই নয়, ডিসেম্বরে  লাটভিয়া এবং এস্টোনিয়া সফরেও যান ঋষি। তাতে খরচ হয় ৬২ হাজার ৪৯৮ ইউরো। ব্যক্তিগত ভাবে খরচ করেন ২ হাজার ৫০০ ইউরো। প্রাইভেট জেটে চেপেই ঋষি প্রত্যেকটি সফর সারেন বলে অভিযোগ। তার পুরো খরচ ব্রিটেনের রাজকোষ থেকেই ব্যয় করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।



আরও পড়ুন: Illegal Immigration: উল্টে পড়ে নৌকা, জালভূমিতে লেপ্টে পর পর দেহ, বেআইনি ভাবে কানাডায় ঢুকতে গিয়ে মৃত্যু ভারতীয় পরিবারের


করদাতাদের টাকায় ঋষি বিলাসিতা করছেন বলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। ব্রিটেনের লিবারেল ডেমোক্র্যাটস-দের তরফে ঋষির তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।  ট্যুইটারে তারা লেখে, ‘রোজকার খরচ চালাতে, পেটের জোগান দিতে যখন হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, সেই সময় করদাতাদের টাকার এমন অপচয় স্তম্ভিত করে দেয়। কনজারভেটিভদের এই সরকার বাস্তব থেকে অনেক দূরে, ধরাছোঁয়ার বাইরে’।


সমালোচনার মুখে পড়ে ডাউনিং স্ট্রিটের তরফে লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘দ্বিপাক্ষিক সফর, আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রীর কাজের মধ্যেই পড়ে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত জরুরি’। তবে সবমিলিয়ে এক সপ্তাহে এত টাকা ব্যয় করা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।


একাধিক ইস্যুতে সমালোচনা. বিদ্ধ ঋষি সুনক


তবে এখানেই শেষ নয়, বাজেট নীতি নিয়েও ঋষির উপর চাপ বাড়াচ্ছে ব্রিটেনের বিরোধী পক্ষ। তাদের দাবি, জেনেশুনে বাজেটে এমন নীতি এনেছেন ঋষি, যাতে তাঁর স্ত্রী ব্যবসায় মুনাফা হয়। সেই নিয়ে ঋষির কাছে কৈফেয়ত চাওয়া হচ্ছে।