Betting App: তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক (Ministry of Electronics and Information Technology) বেটিং অ্যাপের (Illegal Betting Apps) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি ২২টি বেআইনি বেটিং অ্যাপ ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের তালিকায় রয়েছে মহাদেব বুক (Mahadev Book App) এবং Reddyannaprestopro। ইডি- র তরফে একটি বেটিং অ্যাপ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। সেই সূত্র ধরে ছত্তীসগঢ়ের বিভিন্ন জায়গায় চলেছে তল্লাশি। এর ফলে মহাদেব বুক অ্যাপের মাধ্যমে হওয়া বেআইনি কার্যকলাপ প্রকাশ্যে এসেছে। আপাতত মহাদেব বুক বেটিং অ্যাপের মালিকরা হেফাজতে রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে। মহাদেব বুক অ্যাপের মালিকদের আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের ধারা ১৯- এর আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে। 


তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের কেদ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, ছত্তীসগঢ় সরকারের হাতে এইসব ওয়েবসাইট বা অ্যাপ বন্ধ করার সমস্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। Sec 69A IT Act এর আওতায় বন্ধ করা হচ্ছে বেআইনি বেটিং অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট। তবে ছত্তীসগঢ় সরকার এ জাতীয় কোনও অনুরোধ করেনি। গত ১.৫ বছর ধরে তদন্ত চলাকালীন সময়েও এই জাতীয় কোনও অনুরোধ আসেনি। প্রথম অনুরোধ এসেছে ইডি- র তরফে। আর সেই সূত্রেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেআইনি বেটিং অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইট বন্ধের ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানানোর পথে ছত্তীসঢ় সরকারের কাছে কোনও বাধা ছিল না। 


মহাদেব অ্যাপ দুর্নীতি এবং ভূপেশ বাঘেলের যোগসাজশের অভিযোগ


এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ইডি তদন্তের মাধ্যমে এমনই গুরুতর অভিযোগ এনেছিল। ইডি- র অভিযোগ মহাদেব অ্যাপ দুর্নীতির থেকে সরাসরি লাভবান হয়েছেন ছত্তীসঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। এখানে উঠে এসেছে অসীম দাস বলে আরও একজনের নামে যিনি ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। ইডি সূত্রে খবর, এই অসীম দাস জেরায় স্বীকার করেছেন যে তিনি ৫ কোটি টাকা পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের শাসকদলের এক আধিকারিকের কাছে। এছাড়াও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের নামও করেছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকার চূড়ান্ত প্রাপক হিসেবে ভূপেশ বাঘেলের নামই নাকি ইডি- র জেরায় জানিয়েছেন অসীম দাস, এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।


এছাড়াও ইডি দাবি করেছে, তাদের জেরায় অসীম দাস জানিয়েছেন মহাদেব অ্যাপের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক শুভম সোনি (ওরফে পিন্টু) তাঁকে ৫.৩৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন এবং তা ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগীদের কাছে পৌঁছে দিতে বলেছিলেন। ইডি-র আরও দাবি, অসীম ছিলেন একজন ক্যাশ ক্যুরিয়র যাঁকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে বিশেষ কাজে পাঠানো হয়েছিল এবং বিপুল পরিমাণ টাকা কংগ্রেসের নির্বাচনী খরচের জন্য পৌঁছে দেওয়া ছিল এই অসীম দাসের কাজ। বিস্ফোরক দাবির এখানেই শেষ নয়। ইডি- র তরফে আরও দাবি করা হয়েছে যে তাদের জেরায় অসীম দাস জানিয়েছেন, তাঁকে দিবাই ডেকে পাঠানো হয়েছিল এবং সেখানে থেকে টাকা পাঠানোর বিশেষ নির্দেশ দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মহাদেব বুক অ্যাপের আধিকারিকের থেকে টাকা নিয়েছিলেন তিনি আর তা নিয়ে একটি হোটেলে বিশেষ ঘরে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল পরবর্তী নির্দেশের জন্য। এই টাকা ভূপেশ বাঘেলের সহযোগীর হাতে পৌঁছে দেওয়ার চূড়ান্ত নির্দেশই নাকি দেওয়া হয়েছিল অসীম দাসকে, এমনটাই দাবি ইডি- র। 


আরও পড়ুন- অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে আপনার গোপন নথি ! প্রায় ৮১ কোটি ভারতীয়র ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস