Space Meetings: আগামী দিনে মহাকাশেই নাকি হবে বিভিন্ন মিটিং, সম্প্রতি ইসরোর (ISRO) এক বৈজ্ঞানিক (Rocket Scientist) তেমনটাই দাবি করেছেন। এতদিন মিটিং বা কনফারেন্স বলতেই সকলের মনে ধারণা ছিল যে সেটা কোনও হোটেলে হবে। তবে আগামী দিনে অর্থাৎ ভবিষ্যতে মহাকাশ অর্থাৎ স্পেসেই এইসব মিটিং, কনফারেন্সের আয়োজন করা যাবে বলে দাবি করেছেন ইসরোর এক বিজ্ঞানী। সম্প্রতি ইসরোর রকেট সায়েন্টিস্ট নন্দিনী হরিনাথ একথা জানিয়েছেন। এই নন্দিনী হরিনাথ ছিলেন ইসরোর মার্স অরবিটার মিশনের সদস্য। তিনি আরও জানিয়েছেন যে ইসরো বর্তমানে NETRA (Network for space object Tracking and Analysis) প্রোজেক্টের উপরেও কাজ শুরু করেছে। এই প্রোজেক্টের মূল লক্ষ্য হল স্পেস জাঙ্ক যেভাবে পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে তা রুখে দেওয়া।
জানা গিয়েছে, একদল স্কুল পড়ুয়াদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইসরোর এই রকেট সায়েন্টিস। এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল Birla Industrial and Technological Museum- এ। সেখানে মহাকাশ সম্পর্কে আগ্রহী স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে হাজির ছিলেন মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত লোকজনও। নন্দিনী হরিনাথের কথায় এখন কেবলমাত্র বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার জন্যেই মহাকাশে পাড়ি দেন লোকজন। কিন্তু ভবিষ্যতে গবেষণা ছাড়া অন্যান্য কাজেও আনাগোনা শুরু হবে মহাকাশে। তার মধ্যেই থাকবে মিটিং এবং কনফারেন্স করার জন্য মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার বিষয়টি। ইসরোর বিজ্ঞানীর কথায়, বর্তমানেই অনেকেই মহাকাশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাণিজ্যিকিকরণের কথা বলেন। বিলাসবহুল ভাবে ছুটি কাটানোর জন্যেও অনেকে মহাকাশে গিয়েছেন অনেকেই। এ যাবৎ দেখা গিয়েছে বিশ্বের বেশ কিছু ধনকুবের মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন নিজেদের সংস্থার তৈরি মহাকাশ যানে।
এই বিষয়গুলি অবশ্য স্পেস ট্যুরিজমের অন্তর্ভুক্ত। অ্যামাজনের প্রাক্তন সিইও জেফ বেজোস তাঁর ভাইকে নিয়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যেই পাড়ি দিয়েছিলেন মহাকাশে। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন অনেকে। এমনকি মহাকাশ্যের বাণিজ্যিকিকরণের ক্ষেত্রে এগিয়েছে ইসরো নিজেও। বেশ কিছু স্টার্ট আপের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যুক্ত হয়েছে তারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছর অক্টোবর মাসেই নতুন সাফল্য পেয়েছেন ইসরো সংস্থা। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ব্রিটেনের ৩৬টি উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ইসরো-র সবথেকে ভারী রকেট (Rocket)। ইসরো-র তরফে জানানো হয়েছিল, LVM3-M2/OneWeb India-1-এর উপগ্রহের উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। লো আর্থ অরবিটে প্রতিস্থাপনের কাজও সম্পূর্ণ। ৫ হাজার ৭৯৬ কেজির পে-লোডের সফল উড়ানের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণায় নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। চাঁদের পৃষ্ঠে পৌঁছানোর পাশাপাশি খোঁজ চালাবে মহাকাশ সংস্থা। ফলে সবদিক থেকে ইসরো'র এই গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ।