Elon Musk: এলন মাস্ক ট্যুইটার কেনার পরই বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। রাতারাতি খোদ নিজের মাইক্রো ব্লগিং সাইটেই নিন্দার শিকার হয়েছেন মাস্ক। এতদিন বাইরে থেকে নেতিবাচক বার্তার এবার খোদ 'ঘরেই' মাস্কের নীতির বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ শুরু। 


Twitter Chaos: মাস্কের বক্তব্যেই যত জলঘোলা
সম্প্রতি ট্যুইটারের কর্মী ছাঁটাইয়ের পর কোম্পানির নতুন নীতি নিয়েও ইঙ্গিত দিয়েছে এই ধনকুবের। শোনা যাচ্ছে, যার প্রতিবাদ করেছেন খোদ ট্যুইটারের বড়কর্তারা। বিষয়টি কেবল প্রতিবাদ পর্যন্তই থেমে থাকেনি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কোম্পানির এই পরিস্থিতির জন্য অনেক শীর্ষ কর্তাও পদত্যাগের পথ বেছে নিয়েছেন।   


Elon Musk: ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগ
মাস্ক ট্যুইটারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সিইও সহ সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোম্পানি থেকে বরখাস্ত করেন। এরপর চাকরির অনিশ্চয়তার কারণে ট্যুইটারের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তারা পদত্যাগ করেছেন। খবর বলছে, টুইটার কর্মীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক বৈঠকে দেখা করেন মাস্ক। যেখানে অদূর ভবিষ্যতে কোম্পানির জন্য ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে কোম্পানি এখনও এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেনি।


Twitter Chaos: এক্সিকিউটিভরা কোম্পানি ছেড়ে দেন
বর্তমানে টুইটারের বিশৃঙ্খলা থামার নামই নিচ্ছে না। একের পর এক প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করেছেন একাধিক কর্মকর্তা। টুইটারের চিফ সিকিউরিটি অফিসার, লি কিসনার, চিফ প্রাইভেসি অফিসার, ড্যামিয়েন কার্নস ও চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, মারিয়ান ফোগার্টি সহ অনেকেই পদত্যাগ করেছেন৷ এরা ছাড়াও অনেক কর্মকর্তা কোম্পানি ছেড়ে চলে গেছেন।


Elon Musk: বিজ্ঞাপন কমে গিয়েছে  
সূত্রের খবর, ট্যুইইটারে এই রদবদলের মাঝে বিজ্ঞাপনের অভাব দেখা গিয়েছে।  এই কারণে কোম্পানিকে প্রতিদিন গড়ে ৪ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩২ কোটি টাকা লোকসান বহন করতে হচ্ছে। বিজ্ঞাপনদাতারা এখন ট্যুইটারের পরিবর্তন থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিচ্ছেন।


Twitter Chaos: গত মাসে ট্যুইটার চুক্তি
কয়েক মাস আলোচনার পর ৪৪ বিলিয়ন ডলারে ট্যুইটার কিনতে সমর্থ হন টেসলার মালিক এলন মাস্ক। একই সময়ে টুইটারের ১৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে । আগামী এক বছরের মধ্যে ১.২ বিলিয়ন ডলার সুদ হিসাবে দিতে হবে কোম্পানিকে। যদিও এর তুলনায় কোম্পানির আয় অনেক কম।


Elon Musk: তবে, ট্যুইটার কেনার সময় মাস্ক বলেছিলেন,  আয়ের উত্স না করে তিনি এটিকে মানবতার সাহায্যে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। কিন্তু এখন কোম্পানি তার ব্লু টিক ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন করে ফি নেওয়া শুরু করেছে। যা বুঝিয়ে দিয়েছে, এলন মাস্ক তাঁর কথা রাখেননি।