Online Gaming Rules: পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বদলে যাচ্ছে সরকারের মত। এবার অনলাইন গেমিং নিয়ে আরও কড়া বিধিনিষেধ আনতে চলেছে মোদি সরকার। শীঘ্রই দেশে অনলাইন গেমিং বাজার নিয়ে একটি বিল আনবে সরকার । সূত্রের খবর, যেকোনও অনলাইন গেম যা থেকে টাকা উপার্জন হচ্ছে তা সরকারি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে।
Online Gaming Rules: ঠিক কী করছে সরকার ?
দেশে অনলাইন গেমিংয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নিয়েছে কেন্দ্র। এর পাশাপাশি কর বিশেষজ্ঞদের থেকেও মতামত নেওয়া হচ্ছে। মূলত,দেশে অনলাইন গেমিংয়ের ব্যবসা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যা আগামী দিনে বিল আকারে আসতে পারে।
Online Gaming Rules: কেন এই সিদ্ধান্ত ?
মূলত, ভারতে অনলাইন গেমগুলিকে জুয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়। টাকা উপার্জনের এই গেমগুলি প্রায় ভারতের প্রতিটি অঞ্চলেই নিষিদ্ধ। মনে রাখবেন, এই গেমগুলি কোন রাজ্যে নিষিদ্ধ হবে তা রাজ্য সরকারই ঠিক করে। এখন 'অপরচুনিটি' ও 'স্কিল গেম' উভয়কেই নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনার সম্ভাবনা রয়েছে।
Online Gaming Rules: অনলাইন গেমের ব্যবসা বাড়ছে
গবেষণা সংস্থা রেডসিয়ার অনুমান বলছে, ২০২৬ সালের মধ্যে গেমিং ব্যবসার মূল্য হতে পারে ৭ বিলিয়ন ডলার। আগামী দিনে এই অনলাইন গেমগুলি রিয়েল-মানি গেমের গুরুত্ব পাবে। এই ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ভারতে গেমিংয়ে প্রচুর বিনিয়োগ করছে। টাইগার গ্লোবাল অ্যান্ড সিকোয়ার মতো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ক্রিকেট স্টার্টআপ ড্রিম 11 ও মোবাইল প্রিমিয়ার লিগে বিনিয়োগ করেছেন।
Online Gaming Rules: গেমিং বিতর্কে কী বলছ সুপ্রিম কোর্ট ?
ভারতে গেমিং এখন বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষেণ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে, কার্ড গেম রামি ও কিছু ফ্যান্টাসি গেম দক্ষতার ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে। এটি আইনি বৈধতা পেয়েছে। অনেক রাজ্যের হাইকোর্ট পোকারের মতো গেম সম্পর্কেও ভিন্ন মতামত দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক বর্তমানে এর নিয়মনীতির খসড়া তৈরি করছে। রয়টার্সের খবর বলছে, এই গেমগুলি নিষিদ্ধ করার অধিকার রাজ্য সরকারগুলিকে দেওয়া হবে।
Online Gaming Rules: তারুণ্যের উপর প্রভাব
তবে নতুন আইন আনার ক্ষেত্রে সতর্ক রয়েছে সরকার। এই ধরনের গেমগুলি যে তরুণদের প্রভাবিত করে তা ভাল করেই জানে কেন্দ্র। বর্তমানে গেমগুলি প্রায় নিয়ন্ত্রণের আওতার বাইরে রয়েছে। বয়ঃসন্ধিকালে শিশুরা এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে, যে কারণে তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে । PubG-র মতো গেম খেলে শিশুদের আত্মহত্যার ঘটনাও সামনে এসেছে, পরে সরকারকে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।
আরও পড়ুন : Post Office: এই সরকারি স্কিম দিচ্ছে ৬.৭ শতাংশ সুদ, প্রতি মাসে আয়ের সুযোগ