India Pakistan Tension: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এখন তুমুল উত্তেজনা চলছে। কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত আনছে ভারত। দাবি উঠছে এই সন্ত্রাসবাদী হামলার পিছনে পাকিস্তানের মদত রয়েছে। তাই পড়শি দেশকে সাফ জবাব দিতে উঠে পড়ে লাগছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের (Google Search) বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত সরকার। আর একটি বিষয়ে পাকিস্তানিদের ঘুম উড়েছে। ভারতের বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমানকে ঘিরে পাকিস্তানিরা আতঙ্কে রয়েছে। 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম হোক কিংবা সাধারণ মানুষ, সকলের মধ্যেই ভারতের এই রাফাল যুদ্ধবিমানকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চর্চা চলছে চরমে।

গুগলে ছড়িয়েছে ভারত ও রাফালকে ঘিরে হাজারও প্রশ্ন

পাকিস্তানিরা গুগলে সার্চ করছে যে ভারতের কাছে কয়টি রাফাল আছে। রাফাল কত দ্রুত আকাশে ওড়ে, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হলে কে জিতবে ইত্যাদি সমস্ত প্রশ্ন সার্চ করছে পাকিস্তানিরা। আর এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তানিদের মধ্যে এই রাফালকে ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। রাফাল, ভারতীয় বায়ুসেনা ইত্যাদি ট্যাগ ট্রেন্ড করছে সমাজমাধ্যমে। বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও বিভিন্ন স্পেকুলেশন ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে যে ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমান রাতের গভীরে লাইন অফ কন্ট্রোলের উপরে টহল দেওয়া শুরু করেছে।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বক্তব্য যে ভারতের বিমানবাহিনী ইতিমধ্যেই প্রতিশোধ নিয়েছে। কিন্তু ভারত এই খবরকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানে আতঙ্কের পরিবেশ কাটেনি। পাকিস্তানি সাংবাদিক ও প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন যে ভারত আক্রমণ করলে পাকিস্তানকে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

রাফাল কেন পাকিস্তানের চিন্তার কারণ

রাফালে যুদ্ধবিমান ২২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় উড়তে সক্ষম যা পাকিস্তানের জেএফ১৭ বিমানের চেয়েও দ্রুতগতি সম্পন্ন। ভারতের কাছে ৩০০ কিমি রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা পাকিস্তানের কাছে নেই। রাফালে থাকা AESA রাডার, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা, স্টিলথ ডিজাইন একে বিপজ্জনক করে তুলেছে। ভারত সম্প্রতি ফ্রান্সের কাছ থেকে ২৬টি রাফালে-এম যুদ্ধবিমান কেনার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যা ভারতীয় বিমানবাহিনীর রণতরী থেকে সহজেই উড়তে পারবে। এই যুদ্ধবিমান আইএনএস বিক্রান্ত ও আইএনএস বিক্রমাদিত্যে মোতায়েন করা হবে। এর ফলে ভারতের নৌশক্তিও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।