Mobile Bad Effect: সোশ্যাল মিডিয়া করছে ক্ষতি, নিত্যদিন অত্যধিক সময় মোবাইলে থাকার কারণে শরীরে বাসা বাঁধাছে রোগ। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে তেমনই তথ্য। যাতে বলা হচ্ছে এক নয়, দীর্ঘক্ষণ সোশ্য়াল মিডিয়ায় থাকার কারণে অনেক ক্ষতি হচ্ছে ব্যবহারকারীদের। 


ডাক্তাররা বলছেন, সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো ঘুম অত্যন্ত প্রযোজন। যদিও বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনে রাতে ভালো ঘুম হওয়াই কঠিন। যেকোনও বয়সের মানুষই হোক না কেন, সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহারের কারণে আজকাল শিশু-সহ বড়দেরও রাতের পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে না। সম্প্রতি এই বিষয়ে ডি মন্টফোর্ট ইউনিভার্সিটির ডক্টর জন শ-এর নেতৃত্বে লিসেস্টারের স্কুলগুলিতে একটি গবেষণা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, শিশুদের সাধারণত শিশুরা ১২ ঘণ্টার পরিবর্তে মাত্র ৮ ঘণ্টা ঘুমোতে পারছে। যা তাদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে খুবই খারাপ।


মোবাইল ফোন কি এর প্রধান কারণ ?


মোবাইল ফোনকে ঘুমের অভাবের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণায়। এই গবেষণা ১০ বছরের ৬০ জন স্কুলছাত্রকে নিয়ে করা হয়। যাদের বেশিরভাগই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করত। এই শিশুদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ বলেছে, তারা দিনে চার ঘন্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকে। যার মধ্যে প্রায় ৮৯ শতাংশ জানিয়েছে, তাদের নিজস্ব স্মার্টফোন রয়েছে। প্রায় ৫৫ শতাংশ শিশু ট্যাবলেট ব্যবহার করে বলে দেখা গিয়েছে। বাকি ২৩ শতাংশ শিশুদের ল্যাপটপ রয়েছে।


শিশুরা কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ?


গবেষণায় আরও দেখা গেছে, শিশুরা বিভিন্ন মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিজেদের ব্যস্ত রাখে। এর মধ্যে রয়েছে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। ৫৭ শতাংশ শিশু ফটো শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রাম, ১৭ শতাংশ রেডিট ফোরাম ও ২ শতাংশেরও কম ফেসবুক ব্যবহার করছে।


শিশুরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় কেন ?


গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা তাদের বন্ধুরা কী করছে তা নিয়ে ভাবে। সে তার বন্ধুদের সব তথ্য গোপন রাখতে চায়। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, দুই-তৃতীয়াংশ শিশু ঘুমোনোর আগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন।


অনলাইন বেটিং অন্যতম কারণ 


রিসার্চের সময় দেখা গেছে যে আমেরিকার প্রতি পঞ্চম যুবক অর্থাৎ ১৯ শতাংশ এক বছরে কোনও না কোনও অনলাইন বেটিংয়ে অর্থ বিনিয়োগ করেছে। যেখানে বেশিরভাগ সময়ই এরা অনলাইন বাজির শিকার হয়েছেন।


আরও পড়ুন : PM Modi Birthday: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে রইল মোদি সরকারের এই ১০টি জনপ্রিয় প্রকল্প, যা বদলে দিয়েছে দেশবাসীর জীবন