নয়াদিল্লি: ধনকুবের এলন মাস্কের স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ‘স্টারলিঙ্ক’ নিয়ে নতুন ঘোষণা কেন্দ্রের। সকলে ব্যবহার করতে পারবেন না এই ইন্টারনেট পরিষেবা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রেমাসানি চন্দ্রশেখর এই বক্তব্য রেখেছেন সোমবার। তাঁর মতে ভারতে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা সকলে ব্যবহার করা শুরু করলে বিএসএনএল সহ অন্যান্য রাজ্য পরিকাঠামো সমর্থিত টেলিকম সংস্থাগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে এই বিষয়টি মাথায় রেখে বিএসএনএলের একটি পর্যালোচনা বৈঠকে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

Continues below advertisement

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্পষ্ট জানান যে ভারতবর্ষে মাত্র ২০ লক্ষ মানুষই কেবলমাত্র স্টারলিঙ্কের পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, এই স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার ইন্টারনেটের স্পিডও বেঁধে দেওয়া হবে ২০০ এমবিপিএসের মধ্যে। এর বেশি স্পিড পাওয়া যাবে না। আর এই নীতি কার্যকর করলে অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলি কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলেই জানিয়েছেন প্রেমাসানি চন্দ্রশেখর।

আর এই স্যাটকম পরিষেবাগুলি গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করবে বলেই জানানো হয়েছে। আর সেই সমস্ত অঞ্চলেই বিএসএনএলের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে, ফলে এই টেলিকম সংস্থার গ্রাহকদের উপরে ঝুঁকি আসতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এও জানান যে স্যাটকম পরিষেবার জন্য প্রাথমিক খরচ অনেক বেশি হবে এবং এই ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়ার জন্য বা ব্যবহার করার জন্য মাসিক ৩ হাজার টাকা আনুমানিক খরচ করতে হবে গ্রাহককে।

Continues below advertisement

একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এও জানান যে বিএসএনএলের ৪জি প্ল্যানও দেশে এসে গিয়েছে, তবে এখনই এই প্ল্যানের দাম বা ট্যারিফ বাড়াচ্ছে না সংস্থা। চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে বিএসএনএল সংস্থার রাজস্ব ১৫-২০ শতাংশ বেড়েছে বলেই জানান তিনি। প্রেমাসানি জানান আগে বেশ কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল, যা ৯০ শতাংশ সমাধান হয়ে গিয়েছে। পাওয়ারস্টেশনের ঘাটতি ছিল। বর্তমানে ৬০০-৭০০ কোটি টাকা খরচ করে ৩০ হাজার পাওয়ার স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। এতে বিএসএনএলের নেটওয়ার্ক আরও উন্নত হবে এবং গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা আরও ভাল হবে।

কিছুদিন আগেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা INSPACe স্টারলিঙ্ককে দেশে স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানের ছাড়পত্র বা অনুমোদন দিয়েছে। এখন নেই সংস্থাটি তার স্টারলিঙ্ক জেনারেশন ওয়ান কনস্টেলেশনের মাধ্যমে ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু করতে চলেছে। অন্যদিকে TRAI জানিয়েছে স্টারলিঙ্কের মত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট প্রোভাইডারকে প্রতি বছর তাদের রাজস্বের ৪ শতাংশ সরকারকে ফি দিতে হবে আর এর ফলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে যে শহরাঞ্চলের গ্রাহকদের উপরে বছরে ৫০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত খরচের চাপ পড়তে পারে।