TikTok Banned: ভারতে টিকটক (TikTok) অ্যাপ নিষিদ্ধ (TikTok Banned) হয়েছে প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু সম্প্রতি এই অ্যাপ সংক্রান্ত একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে ফোর্বস। তাদের প্রতিবেদন অনুসারে, নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও ভারতীয় টিকটক ইউজারদের (একসময় যাঁরা টিকটক ব্যবহার করতেন) ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে টিকটক কর্তৃপক্ষের হাতে। লক্ষ লক্ষ ইউজারের ক্ষেত্রে এই কাণ্ড ঘটেছে। অর্থাৎ চিনের কাছে ভারতের একসময়ের টিকটক ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে, ফোর্বসের এই রিপোর্ট সামনে আসার পরেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে প্রতি মাসে টিকটকের অ্যাক্টিভ ইউজার ছিল প্রায় ১৫০ মিলিয়ন। বেজিংয়ের কোপমানি বাইট ড্যান্স এই টিকটক অ্যাপ নির্মাণ করেছিল। 


টিকটকে কর্মরত এক ব্যক্তি ফোর্বসকে জানিয়েছেন যে ভারতীয়রা সম্ভবত এই প্রসঙ্গে অবগতই নয় যে তাদের কত তথ্য চিনের হাতে রয়েছে। নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও এককালীন টিকটক ইউজারদের কার্যত নজরদারিতে রেখেছে চিন। টিকটকের পেরেন্ট অর্গানাইজেশন বাইট ড্যান্স সংস্থায় কর্মরত যে কেউ বেসিক অ্যাকসেস পেলেই ওই ইউজারদের ঠিকুজি-কুষ্টি বের করতে পারবে। পাবলিক ফিগার হোক বা আমজনতা, সকলের ক্ষেত্রেই বিষয়টা এক। প্রসঙ্গত ভারতে নিষিদ্ধ হলেও বিশ্বের অনেক দেশেই রমরমিয়ে ব্যবসা করছে টিকটক অ্যাপ। চিন, আমেরিকা, রাশিয়া- সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এক লক্ষেরও বেশি কর্মী রয়েছেন যাঁরা টিকটকে কর্মরত। ভারতে মূলত জেনারেশন ওয়াই এবং জেড- এর কাছেই মারাত্মক ভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল এই টিকটক অ্যাপ। তবে এই অ্যাপ ব্যান হওয়ার পর এর বেশ কিছু ফিচার ইনস্টাগ্রামে যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হল রিলস। 


ফোর্বসের রিপোর্টে অবশ্য সায় দেয়নি টিকটক কর্তৃপক্ষ।  কোম্পানির মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারতে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার পর ভারত সরকারের সমস্ত আদেশের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত রেখে চলেছে তারা। অর্থাৎ টিকটক ভারতে ব্যান হওয়ার পর ভারত সরকার যা যা নিয়মনীতি চালু করেছিল তা মেনে চলছে অ্যাপ কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি আবার ভারতে কর্মী ছাঁটাইও করেছে টিকটক সংস্থা। একসঙ্গে চাকরি খুইয়েছেন প্রায় ৪০ জন। এই কর্মীদের ৯ মাসের severance pay দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল কোম্পানির তরফে। তবে বেশিরভাগই পেয়েছেন মাত্র তিনমাসের টাকা। টিকটক ছাড়াও একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছে ভারতে। সেই তালিকায় রয়েছে উই চ্যাট, শেয়ারইট, হ্যালো, লাইক, ইউসি নিউজ, ইউসি ব্রাউজার, বিগো লাইভ ও আরও অনেক অ্যাপ। ইউজারদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা বজায় রাখার খাতিরেই এইসব অ্যাপ ব্যান করা হয়েছিল। এ যাবৎ ৩০০-র বেশি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছে ভারতে। 


আরও পড়ুন- চাকরি খোঁজার মাধ্যমেই এবার কর্মী ছাঁটাই! কাজ হারাতে পারেন প্রায় ২২০০ জন