নয়া দিল্লি: আচমকাই টুইটার ব্যবহারে সমস্যা দেখা দিল। কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গেল এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি। টুইটার ব্যবহারে ফের সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ। 


বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরএই অভিযোগ করেন নেটিজেনরা। অনেকেই বলেন যে সন্ধ্যে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটার ব্যবহার করতে সমস্যা হচ্ছে তাদের। গোটা বিশ্বজুড়েই এই সমস্যা হচ্ছে বলে জানা যায়। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।


এদিকে, এখনও কর্মী ছাঁটাই (Layoffs) চলছে ট্যুইটারে (Twitter)। সম্প্রতি ভারতে ট্যুইটার সংস্থা তাদের দুটো অফিস বন্ধ করেছে। তারপরেও শোনা যাচ্ছে, কর্মী ছাঁটাই করছে ইলন মাস্কের সংস্থা। গত বছর অক্টোবর মাসে ট্যুইটারের দায়িত্ব নিয়েছেন ইলন মাস্ক। জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সংস্থার সিইও পদে আসীন হয়েছেন তিনি। তারপর থেকেই এই কোম্পানিতে শুরু হয়েছে ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাই। শোনা গিয়েছে, বর্তমানে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ সেলস এবং অন্যান্য বিভাগ থেকে কর্মী ছাঁটাই করছে। খরচ নিয়ন্ত্রণের জন্যও একাধিক বিস্ময়কর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ট্যুইটার সংস্থায়। 


ফেব্রুয়ারিতে ট্যুইটারে কর্মী ছাঁটাই


সূত্রের খবর, গত সপ্তাহেও বেশ কিছু সংখ্যক কর্মীকে পিঙ্ক স্লিপ ধরিয়েছে সংস্থা। মূলত সেলস এবং মার্কেটিং টিমের কর্মীদেরই এই পিঙ্ক স্লিপ ধরানো হয়েছে। নির্দিষ্ট কত সংখ্যক কর্মীকে এই পিঙ্ক স্লিপ ধরানো হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। শোনা যাচ্ছে, জানুয়ারি মাসে সেলস এবং মার্কেটিং বিভাগ থেকে প্রায় ৮০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। ভারতীয় বেল্টে কত কর্মী ছাঁটাই হয়েছেন তার নিশ্চিত সংখ্যাও জানা যায়নি।                                                   


কয়েকদিন আগেই ভারতে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ তাদের দুটো অফিস বন্ধ করে দিয়েছে। কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অর্থাৎ ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খরচ নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত কয়েক মাসে এই ধরনের একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেছে কর্মী ছাঁটাই। গত বছর ভারতে প্রায় ২০০ কর্মীর হাতে টার্মিনেশন লেটার ধরিয়েছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। গ্লোবাল মার্কেটেও ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করেছে ট্যুইটার সংস্থা। এখনও সেই ট্রেন্ড বজায় রয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরুই হয়েছিল ট্যুইটারের হাত ধরে।