Twitter Layoffs: এখনও কর্মী ছাঁটাই (Layoffs) চলছে ট্যুইটারে (Twitter)। সম্প্রতি ভারতে ট্যুইটার সংস্থা তাদের দুটো অফিস বন্ধ করেছে। তারপরেও শোনা যাচ্ছে, কর্মী ছাঁটাই করছে ইলন মাস্কের সংস্থা। গত বছর অক্টোবর মাসে ট্যুইটারের দায়িত্ব নিয়েছেন ইলন মাস্ক। জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সংস্থার সিইও পদে আসীন হয়েছেন তিনি। তারপর থেকেই এই কোম্পানিতে শুরু হয়েছে ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাই। শোনা গিয়েছে, বর্তমানে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ সেলস এবং অন্যান্য বিভাগ থেকে কর্মী ছাঁটাই করছে। খরচ নিয়ন্ত্রণের জন্যও একাধিক বিস্ময়কর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ট্যুইটার সংস্থায়।
ফেব্রুয়ারিতে ট্যুইটারে কর্মী ছাঁটাই
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহেও বেশ কিছু সংখ্যক কর্মীকে পিঙ্ক স্লিপ ধরিয়েছে সংস্থা। মূলত সেলস এবং মার্কেটিং টিমের কর্মীদেরই এই পিঙ্ক স্লিপ ধরানো হয়েছে। নির্দিষ্ট কত সংখ্যক কর্মীকে এই পিঙ্ক স্লিপ ধরানো হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। শোনা যাচ্ছে, জানুয়ারি মাসে সেলস এবং মার্কেটিং বিভাগ থেকে প্রায় ৮০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। ভারতীয় বেল্টে কত কর্মী ছাঁটাই হয়েছেন তার নিশ্চিত সংখ্যাও জানা যায়নি।
কয়েকদিন আগেই ভারতে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ তাদের দুটো অফিস বন্ধ করে দিয়েছে। কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অর্থাৎ ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খরচ নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত কয়েক মাসে এই ধরনের একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেছে কর্মী ছাঁটাই। গত বছর ভারতে প্রায় ২০০ কর্মীর হাতে টার্মিনেশন লেটার ধরিয়েছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। গ্লোবাল মার্কেটেও ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করেছে ট্যুইটার সংস্থা। এখনও সেই ট্রেন্ড বজায় রয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরুই হয়েছিল ট্যুইটারের হাত ধরে।
জানা গিয়েছে, ভারতে ট্যুইটারের যে দু'টি অফিস বন্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে একটি রয়েছে রাজধানী শহর দিল্লিতে। অন্যটি রয়েছে বাণিজ্যনগরী মুম্বইতে। ব্লুমবার্গ সূত্রে খবর, ট্যুইটারের আর একটি অফিস রয়েছে দক্ষিণের টেক জাব বেঙ্গালুরু শহরে। গত মাসে ইলন মাস্ক ট্যুইটার হেড কোয়ার্টার, যা সানফ্রান্সিস্কোতে অবস্থিত সেখানকার ভাড়া দিতে পারেননি বলে জানা গিয়েছিল। সিঙ্গাপুরে থাকা কর্মীদেরও অফিসে আসতে বারণ করা হয়েছিল। কারণ সেখানকার অফিসেরও মাসিক ভাড়া দেওয়া হয়নি। সেই জন্য অফিসের বাইরে অন্যত্র কোথাও বসে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল কর্মীদের। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যুইটার কর্মীদের ইমেলের মাধ্যমে অফিসে আসতে বারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- একধাক্কায় ১৪০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা, এবার কোপ এরিকসন সংস্থায়