Twitter Features: ট্যুইটারের (Twitter) নতুন মালিক ইলন মাস্ক (Elon Musk) দায়িত্ব নেওয়ার পরই ঘোষণা করেছিলেন যে জনপ্রিয় এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মের নিয়ম কানুনে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে। ইতিমধ্যেই তা শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার ট্যুইটারের একটি নতুন ফিচারের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, ইউজাররা এবার থেকে সেইসব অ্যাকাউন্টের ট্যুইটও দেখতে পাবেন যেই অ্যাকাউন্ট তাঁরা ফলো করে রাখেননি। অর্থাৎ ট্যুইটার তার রেকমেন্ডেশন ফিচার আরও বিস্তার করছে। আগে যেসব ইউজার এই ফিচার এড়িয়ে চলতেন এবার আর এড়ানোর উপায় নেই। পছন্দ না হলেও অন্য অ্যাকাউন্টের ট্যুইট দেখতে হবে। মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষ চায় সমস্ত ইউজার যেন সব গুরুত্বপূর্ণ ট্যুইট দেখতে পান। আর সেই স্বার্থেই এবার থেকে ফলো না করা ট্যুইটার হ্যান্ডেলের ট্যুইটও দেখতে হবে ইউজারকে।
তাই যদি ট্যুইটারে এমন কোনও অ্যাকাউন্টের ট্যুইট দেখতে পান যা আপনার ফলো করা নেই, তাতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ইউজারের গতিবিধির ভিত্তিতেই তাকে রেকমেন্ডেশন ফিচার অনুসারে বিভিন্ন ট্যুইটার হ্যান্ডেলের ট্যুইট দেখাবে কর্তৃপক্ষ। মূলত যে বিষয়ে ইউজারের আগ্রহ রয়েছে বা যেসব জিনিস ট্যুইটারে তাঁরা সার্চ করেছেন, তার ভিত্তিতেই তৈরি হবে এই রেকমেন্ডেশন লিস্ট। ইউজারের অভিজ্ঞতা ভাল করার জন্যই এই নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে ট্যুইটারে। এই রেকমেন্ডেশন ফিচার বদলানোর সুযোগও পাবেন ইউজাররা। সেই ভাবে বিশেষ সুবিধাও দেওয়া হবে।
Tweet Character: ট্যুইটারের ক্ষেত্রে ট্যুইট (Tweet) করার ক্যারেক্টার (Tweet Character) সংখ্যা বাড়তে চলেছে, একথা অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। এবার এক ট্যুইটারিয়ান প্রস্তাব দিয়েছেন ট্যুইট করার ক্যারেক্টার সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০০ করা হোক। সেই প্রস্তাব শুনে ইলন মাস্কও ট্যুইটে লিখেছেন এটা তাঁদের To Do List- এ রয়েছে। বর্তমানে ২৮০ ক্যারেক্টার ব্যবহার করে ট্যুইট করতে পারেন ইউজাররা। প্রথমে শোনা গিয়েছিল যে তা বাড়িয়ে ৪২০ করা হবে। তবে এবার অনেকে মনে করছেন হয়তো ট্যুইট করার ক্যারেক্টার সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০০- ও করা হতে পারে। ট্যুইট করার ক্যারেক্টার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি শোনা গিয়েছে যে এনক্রিপ্টেড ডিরেক্ট মেসেজ বা ডিএম, পেমেন্ট সার্ভিস- এইসব ফিচার নিয়েও কাজ শুরু করেছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। তবে এইসব ফিচার কবে চালু হবে তা জানা যায়নি। এমনকি ট্যুইট করার ক্যারেক্টার সংখ্যা বাড়বে কিনা সে ব্যাপারেও নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথমদিকে ট্যুইট করার ক্ষেত্রে ১৪০টি ক্যারেক্টার ব্যবহার করা হত। ২০১৮ সালে এই ক্যারেক্টার সংখ্যা বাড়িয়ে ২৮০ করা হয়েছিল। অনেকেই মনে করছেন যে নতুন ফিচার চালু করার আগে হয়তো ট্যুইটারে একটি পোল করতে পারেন ইলন মাস্ক। অর্থাৎ ইউজারদের কাছেই জানতে চাওয়া হবে যে ক্যারেক্টার বাড়ানো উচিত কিনা, আর বাড়ালেও কত সংখ্যা করা উচিত। তারপর ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ট্যুইটারে এভাবে ভোটের মাধ্যমেই 'এডিট' অপশনও চালু হয়েছিল।
আরও পড়ুন- প্রায় ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করার পর এবার নিয়োগের পথে হাঁটছে অ্যামাজন