Twitter Blue: ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু ভেরিফায়েড ব্যাজ (Twitter Blue Verified Badge) সরিয়ে দিয়েছে। এবার থেকে ট্যুইটার ব্লু সাবস্ক্রিপশন (Twitter Blue Subscription) না থাকলে আপনি আর অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক রাখতে পারবেন না। পয়লা এপ্রিলেই এই নিয়ম চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা পিছিয়ে ২০ এপ্রিলে হয়েছে। গ্লোবাল স্তরেই এই নতুন নিয়ম চালু হয়েছে যে ট্যুইটার ব্লু সাবস্ক্রিপশন না থাকলে কোনও ইউজার তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ব্লু টিক রাখতে পারবেন না। 



ট্যুইটার ব্লু- এর সুবিধা


যে ইউজারের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক থাকবে সেখানে ইউজাররা কম বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। এর পাশাপাশি বড় ট্যুইট করার সুযোগ থাকবে এবং আসন্ন ফিচারগুলির দ্রুত অ্যাকসেস পাবেন। ব্লু টিক থাকা মানে একজন ইউজারের ট্যুইটার অ্যাকাউবট ভেরিফায়েড। সেক্ষেত্রে তাদের অ্যাকাউন্ট এবং সেখানের তথ্যকে মান্যতা দিতে হবে। এই ইউজারেরদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে বা প্রায়োরিটি দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক থাকলে একজন ইউজার ট্যুইট করার ৩০ মিনিট পরে পর্যন্ত তা এডিটের অপশন পাবেন। এছাড়াও ফুল এইচডি রেজোলিউশনের ভিডিও শেয়ার করার সুযোগও পাবেন ইউজাররা। 


আগেই জানানো হয়েছিল যে ট্যুইটারে ব্লু টিক পরিষেবা পেতে চাইলে নতুন ট্যুইটার ইউজারদের ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ ৯০ দিন ট্যুইটারে থাকতে হবে। অর্থাৎ ট্যুইটার মাধ্যমে ৯০ দিন পূর্ণ করলে তবে একজন ইউজার ব্লু টিক ভেরিফিকেশন সাবস্ক্রিপশন নিতে পারবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগে ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক পাওয়ার জন্য ইউজারদের আবেদন করতে হত এবং তার ভিত্তিতে নিজেদের বিভিন্ন তথ্য দিতে হত। এইসব তথ্য ভেরিফিকেশনের মাধ্যমেই ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিত যে কোন ইউজারকে ব্লু টিক প্রদান করা হত। 


২০০৯ সালে টুইটারে নীল টিক চিহ্ন দেওয়া শুরু করে। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতা, সেলিব্রিটিদের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে নীল টিক দেওয়া শুরু হয়। আগে ব্লু টিক এর জন্য চার্জ নেয়নি কোম্পানি। যদিও এলন মাস্ক টুইটারের মালিক হওয়ার পর থেকেই এই পরিষেবার জন্য টাকা নেওয়া হবে বলে জানান এলন মাস্ক। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ট্যুইটারের দায়িত্ব নিয়েছেন ইলন মাস্ক। তারপর থেকেই একাধিক পরিবর্তন এসেছে এই মাইক্রোব্লগিং মাধ্যমে। ভারতেও চালু হয়েছে ট্যুইটার ব্লু সাবস্ক্রিপশন। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস দুই ভার্সানেই চালু হয়েছে এই পরিষেবা। 


আরও পড়ুন- ট্যুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী 'কু' অ্যাপেও এবার ছাঁটাই, একধাক্কায় কমল প্রায় ৩০ শতাংশ কর্মী