নয়াদিল্লি : ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপের পরিবেশ সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে ২০ লক্ষ ভারতীয়ের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করল হোয়াটসঅ্যাপ। অনলাইন প্লাটফর্মে গালিগালাজ বন্ধ ছাড়াও গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ১৫ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যে এই অ্যাকাউন্টগুলি নিষিদ্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। মাসিক রিপোর্টে এমনই জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।


দেশের নতুন তথ্য প্রযুক্তি আইন মেনেই এই রিপোর্ট সামনে এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিকে 'অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট' জমা দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২০ লক্ষ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ নিয়ে মুখ খুলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। কোম্পানির তরফে বলা হয়েছে, গ্রাহকদের নিরাপদ পরিবেশ দিতে ধারাবাহিকভাবে প্রযুক্তির ওপর বিনিয়োগ করে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যাপের মাধ্যমে যাতে ক্ষতিকারক মেসেজ না ছড়ায় সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে। যারই ফলস্বরূপ একমাসে কেবল ভারতেই ২০ লক্ষ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে কোম্পানি।


কোম্পানি জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের প্লাটফর্মে খারাপ ব্যবহার রুখতে কিছু টুল ব্যবহার করা হচ্ছে। বাজে কিছু ঘটার আগেই তা রুখে দেওয়াই লক্ষ্য কোম্পানির। প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে এই কাজ করছে হোয়াটসঅ্যাপ ? ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের প্লাটফর্মে গালিগালাজ বা ক্ষতিকারক মন্তব্য রুখতে অ্যাকাউন্টের তিনটি বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করছে টিম। রেজিস্ট্রেশনের সময়, মেসেজিং ও নেগেটিভ ফিডব্যাকের ওপর ভিত্তি করেই নিষিদ্ধ করা হচ্ছে অ্যাকাউন্টগুলিকে।


দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বলছে, ভারত সরকারের নতুন আইটি রুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। যেখানে 'ট্রেসেবিলিটি ক্লজ' বা সন্ধান দেওয়ার ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে কোম্পানি। মূলত, দেশে কোনও মেসেজের প্রথম বার্তাবাহকের সন্ধান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নতুন ইনফরমেশন টেকনোলজি রুলে।


সম্প্রতি নতুন আইটি রুল লাগু হয় দেশে। যেখানে বলা হয়েছে, কোনও সোশ্যাল মিডিয়া মধ্যস্থতাকারী গ্রাহক সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়ালেই তাদের মাসিক 'কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট' জমা দিতে হবে। সেই নিয়ম মেনেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই মাসের প্রথমেই গুগল, ফেসবুক, ট্যুইটার এই রিপোর্ট জমা দিয়েছিল।