নয়াদিল্লি: ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলেও অন্য ডিভাইসের মাধ্যমে চালাতে পারবেন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। এমনকী ফোনের নেট ব্যালেন্স শেষ হলেও এই কাজে সমস্যা হবে না। নতুন ফিচার অনুযায়ী, একাধিক ডিভাইসকে জুড়তে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুরু হয়ে গিয়েছে তার বিটা টেস্টিং।


জল্পনা চলছিল অনেকদিন ধরেই। 'মাল্টি ডিভাইস অ্যাকসেস টেকনোলজি' নিয়ে কাজ করছিল হোয়াটসঅ্যাপ। সম্প্রতি সেই কাজে অনেকটাই সাফল্য এল ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপের। নতুন প্রযুক্তির বিটা টেস্টিং শুরু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। যার মাধ্যমে আগামী দিনে একসঙ্গে চারটে 'নন ফোন ডিভাইস'-এ কাজ করার সুযোগ পাবেন গ্রাহক।


কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, নতুন এই প্রযুক্তির পরীক্ষা-নিরীক্ষা আগেই শুরু হয়েছিল। এখন জোরকদমে এগোচ্ছে এই নতুন ফিচার লাভের কাজ। আগামী দিনে এই প্রযুক্তি চালু হলেও গ্রাহকের গোপনীয়তায় কোনও সমস্যা হবে না। এমনিতে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েবের মাধ্যমে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে কানেক্ট করা যায় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ। নতুন ফিচার এলে এক ফোনের মাধ্যমেই চারটে নন ফোন ডিভাইসে কানেক্ট করা যাবে। সবথেকে বড় বিষয়, সেই সময় চার্জের অভাবে ফোন বন্ধ হয়ে গেলেও চ্যাট করতে সমস্যা হবে না। এমনকী ফোনে ইন্টারনেটের ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলেও অসুবিধায় পড়তে হবে না গ্রাহককে। তবে এ ক্ষেত্রে যে ডিভাইসের সঙ্গে ফোন জুড়ে রয়েছে তার ইন্টারনেট কানেকশন স্থায়ী হতে হবে।


গত কয়েক মাস ধরে এই নতুন প্রযুক্তির ওপর কাজ করছে হোয়াটসঅ্যাপ। কোনও-কোনও টেক সাইটের দাবি, ২০১৯ সালের জুলাই থেকেই কোম্পানির এই কাজ গতি পেয়েছে। মাল্টি ডিভাইস অ্যাকসেসের ক্ষেত্রে 'এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন' নিয়েও কাজ করছে কোম্পানি। যেখানে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকের কনট্যাক্ট, মেসেজ হিস্ট্রি, স্টারড মেসেজ অন্য ডিভাইসের সহজেই যোগ করা যায়।


ইতিমধ্যেই অল্প সংখ্যক কিছু গ্রাহকের কাছে মাল্টি ডিভাইস অ্যাকসেস দিয়ে রেখেছে হোয়াটসঅ্যাপ। যারা কোম্পানির বিটা প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত। আগামী দিনে এই নতুন ফিচারের অ্যাকসেস গ্রাহকদের দিয়ে দেবে কোম্পানি। তবে বিভিন্ন ডিভাইসে একসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ কানেক্ট হলেও গ্রাহকের গোপনীয়তা নিয়ে সমস্যা হবে না। অন্তত তেমনই দাবি করেছেন কোম্পানির কর্তা উইল ক্যাথকার্ট।