YouTube Stories: বন্ধ হতে চলেছে ইউটিউব স্টোরি (YouTube Stories)। গুগল (Google) অধিকৃত ভিডিও সাইট ইউটিউব (YouTube) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে। আগামী ২৬ জুন থেকে বন্ধ হতে চলেছে ইউটিউব স্টোরি। কারণ এবার শর্টস, কমিউনিটি পোস্ট এবং লাভ ভিডিওর ক্ষেত্রে বেশি নজর দিতে চায় ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি থাকছে ইউটিউবের চিরাচরিত long-form content। ইতিমধ্যেই ক্রিয়েটরদের ইউটিউব স্টোরি বন্ধ হওয়ার ব্যাপারে জানানো হয়েছে। একাধিক মাধ্যম থেকে রিমাইন্ডার দেওয়া হয়েছে ক্রিয়েটরদের। ভারতে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার পর জনপ্রিয়তা বেড়েছিল ইউটিউব স্টোরির। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই স্টোরি বিষয়টি চালু রয়েছে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামেও। 


২০১৮ সালে অফিশিয়াল ভাবে ইউটিউবে চালু হয়েছিল স্টোরি ফিচার। ১০ হাজারের বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকলে সেই ক্রিয়েটররা ইউটিউ স্টোরির সুবিধা পান। অন্যান্য মাধ্যম যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে যেমন সব ইউজার ইউটিউব স্টোরি আপলোড করতে পারেন। তবে ইউটিউবে সেই সুবিধা কখনই ছিল না। তবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ইউটিউবের স্টোরিও আর দেখা যায় না। ইনস্টাগ্রামে যদিও স্টোরি হাইলাইটস হিসেবে স্টোরি সেভ রাখা যায়। তবে ইউটিউবে ক্রিয়েটরের প্রোফাইলে কোনও ভাবেই স্টোরি সেভ করে রাখা যায় না।


ইউটিউবে প্রতারণা 


পুরনো পদ্ধতিতে কাজ হচ্ছে না। এবার লোক ঠকানোর নতুন রাস্তা বের করেছে প্রতারকরা। ইউটিউবে ভিডিও লাইক করার নামে চলছে প্রতারণা। টাকা দেওয়ার নাম করে পাতা হচ্ছে ফাঁদ। একবার পা দিলেই হারাবেন টাকা। আপনি কি সম্প্রতি কোনও হোয়াটসঅ্যাপ টেক্সট বা এসএমএস বার্তায় YouTube ভিডিও লাইক করে অর্থ উপার্জনের প্রস্তাব পেয়েছেন ? এই ধরনের ফাঁদ সাড়া দিলে বড় ধরনের বিপত্তির মুখে পড়বেন আপনি। ইতিমধ্য়েই এরকম কয়েকটি মামলা পুলিশের কাছে এসেছে। যেখানে প্রতারকরা অর্থের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যবহারকারীদের লাখ লাখ টাকা প্রতারণা করেছে। সাইবার অপরাধীরা এখন এই প্রতারণাচক্র চালাতে হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করছে। এই ধরনের প্রতারণার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের প্রথমে একটি টেক্সট মেসেজ দিচ্ছে। অজানা নম্বর থেকে পাঠানো হচ্ছে এই মেসেজ। YouTube-এ কিছু ভিডিও লাইক করতে বলে প্রতি 'লাইক' পিছু ৫০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছ স্ক্যামাররা। 


আরও পড়ুন- রোজ একই সময়ে মাথায় ব্যথা হয় ? কোন গুরুতর রোগের ইঙ্গিত ?