আগরতলা: চাকরির দাবিতে পথে নেমেছেন শয়ে শয়ে। তার জেরে উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব সব বিরোধী দলও। বিজেপি শাসিত (BJP) ত্রিপুরাতেও (Tripura News) একই পরিস্থিতি। সেখানেও অনশন-আন্দোলনে বসেছেন চাকরিহারা বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা। প্রতিশ্রুতি ,সত্ত্বেও রাজ্যের বিজেপি সরকার চাকরি দেয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের (Teachers' Protest)।


চাকরির দাবিতে আগরতলায় অনশনে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক


বৃহস্পতিবার আগরতলায় চাকরির দাবিতে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক এবং শিক্ষিকা। আন্দোলনকে আমরণ অনশনের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরাও। ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, "নির্বাচনের আগে চাকরি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেনি রাজ্যের বিজেপি সরকার।" চাকরির দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে আগরতলায় ১০ হাজার ৩২৩ জন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা আমরণ অনশন আন্দোলন শুরু করেছেন।


ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সরকার গঠিত হলে, তাঁদের চাকরি নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তার পর সাড়ে চার বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও কোন নিশ্চয়তা মেলেনি।  


আরও পড়ুন: Supreme Court on Manik: 'জেলেই থাকতে হবে', সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা মানিক ভট্টাচার্য-র


আন্দোলনকারীদের দাবি, যে কারণ দেখিয়ে তাঁদেরকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়, সেই মামলায় তাঁরা অন্তর্ভুক্তই নন।  সুপ্রিম কোর্টে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন জানিয়ে বিষয়টি জানতে পেরেছেন তাঁরা। আইনের ভুল ব্যাখ্যা  করে তাঁদের চাকরি থেকে ছাটাই করা হয়েছে । এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলেও, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে কোনও কথা বলতে রাজি হননি বলে দাবি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। 


বিজেপি সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি বলে অভিযোগ


নিয়োগ প্রক্রিয়ায়  ত্রুটির কারণে ২০১৪ সালে ত্রিপুরা হাইকোর্ট ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল ত্রিপুরা সরকার। কিন্তু শীর্ষ আদালতও হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে। তার পূর্বতন রাজ্য সরকার শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের ছাঁটাই করতে শুরু করে। কাঁদের পুনরায় বহাল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই সেখানে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু তাদের আমলেও ছাঁটাই বন্ধ হয়নি। সবমিলিয়ে মোট ১০ হাজার ৩২৩ জনকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়।  সেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা এ বার আন্দোলকেই অনশনে নিয়ে গেলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।