প্রসেনজিৎ সাহা, ত্রিপুরা : প্রবল ধাক্কা সামলে সম্ভব হয়েছে ক্ষমতা ধরে রাখা। একধাক্কায় আসন সংখ্যা বেশ কিছুটা কমলেও ত্রিপুরা (Tripura) রয়েছে পদ্ম-রই দখলে। ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাই (Manik Saha) । আগামী সপ্তাহের শুরুতেই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে চলেছে। সম্ভবত যা ,হতে পারে ৮ মার্চ। যার আগে নির্বাচনের ফলাফলের পরের দিনই রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্য্যের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। 


ম্যাজিক ফিগার অল্পের জেরে পার বিজেপি জোটের 


৬০ আসনের ত্রিপুরায় ম্যাজিক ফিগার ৩১। ২০১৮-র তুলনায় এবার বিজেপি ও IPFT জোটের আসন সংখ্যা ৪৪ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩-এ। ৫ বছর আগে যেখানে বামেরা একাই জিতেছিল ১৬টি আসনে, সেখানে এবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেও তারা পেয়েছে মাত্র ১৪টি। এদিকে, সবাইকে চমকে দিয়ে প্রদ্যোৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মার তিপ্রামথা জিতল ১৩টি কেন্দ্রে।


হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জয় মানিকের


টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে কোনওক্রমে জিতেছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। হাজারের সামান্য বেশি ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী আশিস কুমার সাহাকে হারালেন তিনি । তবে চড়িলাম কেন্দ্রে তিপ্রামথা প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন, বিদায়ী উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন। হার মানতে হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকেও। এদিকে, ২০২১-এ পুরভোটের সময় থেকেই, ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। কিন্তু, গতবছর উপনির্বাচনে ত্রিপুরার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই চতুর্থ স্থানে শেষ করে তৃণমূল। প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয় তাদের। নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে তারা। 


গতকাল ফলাফল ঘোষণার পরে ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেছিলেন, 'এই ফলের জন্য খুশি। আগেই আশা করেছিলাম এরকম ফল হবে। যাইহোক বহুমত নিয়ে আসছি। তবে আমার আর্জি কোথাও যেন আনন্দ করতে গিয়ে, কারও নিরানন্দ না হয়।' বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'আগেই বলেছিলাম যে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসব। এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড তাতে সে কথাই মনে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা এবং রাজনাথ সিংহ-সহ সমস্ত দলীয় কর্মীকে ধন্যবাদ।' তবে তিনি যে আরও বেশি সংখ্যক আসন আশা করেছিলেন তা নিয়েও লুকোচাপা করেননি মানিক। বলেন, 'সেটি কেন হল না তা নিয়ে ভোটের ফলপ্রকাশের পর কাঁটাছেড়া হবে। আপাতত জয়ের শংসাপত্র আনতে যাচ্ছি।' 


আরও পড়ুন- হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জিতলেন ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী