প্রসেনজিৎ সাহা, আগরতলা: পৌরসভা নির্বাচনে হার জুটেছিল আগেই। উপনির্বাচনেও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বললেও, ত্রিপুরায় (Tripura) তৃণমূলের (TMC) অন্দরে ভাঙন ধরতে শুরু করল। নিজের অনুগামীদের নিয়ে এ বার কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিলেন দলের নেতা বাপ্টু চক্রবর্তী (Baptu Chakraborty)। ত্রিপুরায় তাঁকে দলের সাধারণ সম্পাদক করেছিল তৃণমূল। আর দলবদলের পরই তৃণমূল-বিজেপি (BJP) আঁতাতের তত্ত্ব উঠে এসেছে তাঁর মুখে। 


ত্রিপুরায় তৃণমূলের অন্দরে ভাঙন


রবিবার আগরতলায় নিজের অনুগামীদের নিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন বাপ্টু। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের টিকিটে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ১২ জন প্রার্থী রয়েছেন। সকলে মিলে এ দিন কংগ্রেস যোগ দেন। সেখানেই বাপ্টুর মুখে উঠে এসেছে তৃণমমূল-বিজেপি আঁতাতের তত্ত্ব। 


এ দিন  কংগ্রেস ভবনের সামনে আয়োজিত যোগদান সভায় জোড়াফুল ছেড়ে হাত ধরেন বাপ্টু। সেখানে কংগ্রেসের বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের হাত থেকে দলের পতাকা তুলে নেন। তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাপ্টু জানান, একটি উদ্দেশ্য নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, বিজেপি-র বিকল্প হিসেবে কাজ করবে তৃণমূল। কিন্তু বিভিন্ন উপায়ে তারা বিজেপি-রি হাত শক্ত করছে। বিজেপি-কে মদত জোগাতে নানা ভাবে আঁতাত করে যাচ্ছে। আগামী দিনে ত্রিপুরায় তৃণমূলের নেতৃত্বস্থানীয় আরও অনেকে কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলেও দাবি করেন বাপ্টু। 



আরও পড়ুন: NITI AYOG Meeting: আজ নীতি আয়োগের বৈঠক, জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা


কারণ যে উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন, ভেবেছিলেন বিজেপির বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু বিভিন্ন উপায়ে বিজেপির হাত শক্ত করছে। বিজেপিকে মদত জোগাতে আঁতাত করে যাচ্ছে। বাপ্টুর মতো ‘দলবদলকারী’ নেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি জানান, কয়েক দিন আগেও তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন বাপ্টু। তার পর আচমকাই দলবদল। রাজীবের মতে, বাপ্টুর মতো নেতারা নিজেদের আখের গোছাতে আজ এখানে, কাল সেখানে গিয়ে থাকেন। 


তৃণমূল-বিজেপি আঁতাতের অভিযোগ নেতার


উল্লেখ্য, বাংলার বাইরে শিকড় মজবুত করতেই ত্রিপুরায় অগ্রসর হয় তৃণমূল। সেখানে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাও তাদের হয়ে কাজ করেছে। কিন্তু এ যাবৎ ত্রিপুরায় সে ভাবে সাফল্য পায়নি তৃণমূল। অভিষেক বার বার সেখানে গেলেও, সংগঠন মজবুত করার কথা বললেও, নির্বাচনে কার্যত কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি তাঁর দল। বরং সিপিেম-কংগ্রেসের মতো বিজেপি বিরোধী দলগুলি তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। বিরোধীদের ভোট কেটে নিয়ে বিজেপি-র হাত শক্ত করতেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের আগমন বলে বার বার অভিযোগ করেছে তারা।