Bangladesh MP Murder: কীভাবে লোপাট বাংলাদেশের সাংসদের দেহ? ভাঙড়ের জলাশয়ে চলছে খোঁজ। ABP Ananda Live
কলকাতায় (Kolkata Crime News) তোলপাড় ফেলে দিয়েছে নারকীয় খুনের ঘটনা। বাংলায় এসে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার উল আজিম! শুধু খুনই নয়! তারপর কসাই দিয়ে গোটা দেহ থেকে চামড়া ছাড়িয়ে নিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে ট্রলিব্য়াগে করে দেহ নিয়ে গিয়ে ফেলা হয়েছে খালে। শুক্রবার দেহাংশের খোঁজে সেই খালে নামানো হয় ডুবুরি (Bangladesh MP Murder)।
এরকম হাড় হিম করা খুনের ঘটনা বাংলার বুকে শেষ কবে ঘটেছে, মনে করতে পারছেন না অনেকেই। খুন, হানিট্র্য়াপ, দেহ লোপাট- ভয় ধরানো থ্রিলারের সব উপাদানই মজুত রয়েছে এই ঘটনায়। কারণ গোয়েন্দারা মনে করছেন, গোটাটা ঘটানো হয়েছে পরিকল্পনামাফিক।
যিনি খুন হয়েছেন তিনি বাংলাদেশের সাংসদ। যিনি পরিকল্পনা করেছেন বলে অভিযোগ, তিনি আমেরিকা-নিবাসী। সাংসদকে কলকাতায় আনতে হানিট্র্য়াপ হিসাবে মহিলাকে আনা হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। আর খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করতে কসাই আনা হয়েছিল মুম্বই থেকে।
বৃহস্পতিবার থেকেই সিআইডি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল। সিআইডি সূত্রে খবর, বনগাঁ থেকে জুবের ওরফে জিহাদ নামের এক কসাইকে গ্রেফতারের পরই সামনে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিআইডি সূত্রে দাবি, ধৃতকে জেরা করে জানা গেছে, ১৩ মে বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার উল আজিমের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে যায় সে। সিআইডি সূত্রে দাবি, ধৃত কসাইকে জেরা করে জানা গেছে, ক্লোরোফর্ম দিয়ে সাংসদকে অজ্ঞান করে তারপর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়। এরপর মৃতদেহ লোপাটের উদ্দেশ্যে টুকরো টুকরো করে কাটা হয় হাড় ও মাংস। সেগুলি ভরা হয় বিভিন্ন প্যাকেটে। সেই প্যাকেটগুলি আবার ভরা হয় একটি ব্রিফকেস ও একটি ট্রলিব্যাগে। গভীর রাতে দেহাংশের প্যাকেট ফেলা হয় ভাঙড়ের পোলেরহাট এলাকার জলাশয়ে।
সিআইডি সূত্রে খবর, দেহাংশ ফেলার পর ব্যাগ ২টি ফেলা হয় অন্য জায়গায়। সাংসদের নিউটাউনের ফ্ল্য়াটের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সাংসদের নিউটাউনের ফ্ল্য়াটের সিসিটিভি ক্য়ামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, সেদিন ৩ জন যখন ফ্ল্যাটে ঢুকছিল, তখন কারও হাতে ট্রলিব্যাগ ছিল না। কিন্তু, ফ্ল্য়াট থেকে তারা যখন বেরোয়, তখন ধৃত কসাই এই জুবেরকে সবুজ রঙের একটি ট্রলিব্যাগ নিয়ে বেরোতে দেখা যায়। তার পিছন পিছন বেরোয় আরও একজন। তার হাতে ছিল কয়েকটি বড় পলিথিনের ব্যাগ। দরজায় তালা লাগিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যায় তারা। তাহলে কি এই ট্রলি ব্য়াগেই ছিল নিহত সাংসদের দেহাংশ? বাংলাদেশের পুলিশ জানিয়েছে, প্লাস্টিকে করে দেহাংশ নিয়ে যাওয়ার সময় তাতে মশলা মাখানো হয়। যাতে কেউ জিজ্ঞেস করলে বাজার থেকে কেনা মাংস বলে চালানো যায়।
বৃহস্পতিবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার পোলেরহাটে নিয়ে যাওয়া হয় ধৃত কসাইকে। সিআইডি সূত্রে খবর, অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় যেখানে দেহাংশ ফেলা হয়েছিল, সেই জায়গাটি চিহ্নিত করা যায়নি। শুক্রবারও ধৃতকে নিয়ে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা।
ডিসক্লেমার : এই খুনের খবর ও বর্ণনা আপনাকে বিচলিত করতে পারে। দুর্বলচিত্তের মানুষদের না-দেখাই শ্রেয়।