Behala Eviction: বেহালায় উচ্ছেদ অভিযানে আক্রান্ত পুরসভার অফিসার, গ্রেফতারির ১৯ ঘণ্টাতেই জামিন তৃণমূলকর্মীর | ABP Ananda LIVE
বেহালার পর্ণশ্রীতে উচ্ছেদ অভিযানে, পুরসভার অ্য়াসিস্ট্য়ান্ট ডিরেক্টরকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনাতেই, গ্রেফতারির ১৯ ঘণ্টার মধ্য়ে জামিন পেলেন, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। বুধবার, আদালতে পুলিশ পুরসভার আক্রান্ত অফিসারের সরকারি পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় জামিন পেলেন তৃণমূল কর্মী।
বেআইনি জবর দখল উচ্ছেদে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। আর মঙ্গলবার বেআইনি উচ্ছেদ অভিযানে দিয়ে পুরসভারই অ্য়াসিস্ট্য়ান্ট ডিরেক্টরকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। আর তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার হলেন মঙ্গলবার বুধবার আদালতে তুলতেই জামিনও পেয়ে গেলেন!
ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল পুলিশের ভূমিকা। পুরসভা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধেয় ৬টা নাগাদ, বেহালার পর্ণশ্রীতে একটি বেআইনি গুমটি দোকান ভাঙতে যায় কলকাতা পুরসভার একটি প্রতিনিধি দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন পুরসভার অ্য়াসিস্ট্য়ান্ট ডিরেক্টর বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভক্ত। অভিযোগ ঠিক তখনই, অভিজিৎ মৈত্র ওরফে পিকলু নামে এক তৃণমূল কর্মী বাধা দেন তাঁদের। তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বচসা শুরু হয় পুরসভার অ্য়াসিস্ট্য়ান্ট ডিরেক্টরের। বচসা চলাকাালীন তাঁকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেন ওই তৃণমূল কর্মী। ভেঙে যায় পুর আধিকারিকের চশমার কাচ। তাঁকে বিদ্য়াসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
মঙ্গলবার রাতেই পর্ণশ্রী থানা গ্রেফতার করে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী পিকুলকে। কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে মারধর, কাজে বাধাদানের মতো জামিন অযোগ্য় ধারায় মামলা করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এরপর বুধবার ধৃতকে আদালতে তোলা হয়। পুরসভার আক্রান্ত অফিসারের সরকারি পরিচয়পত্র দেখতে চান বিচারক। কিন্তু পুলিশ সেটাই জমা দিতে না পারায় ধৃত তৃণমূল কর্মীকে জামিন দিতে হয় বিচারককে। আর এখানেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আক্রান্ত ব্য়ক্তি যে সরকারি অফিসার সেই প্রমাণপত্রটুকু কেন আদালতে দেখাতে পারল না পুলিশ?