RG Kar Case: সুপ্রিম কোর্টে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার। ABP Ananda Live
আরজি কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় গত ২২ অগাস্ট, সুপ্রিম কোর্টে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। তিনি বলেন, তদন্তে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, অপরাধের জায়গা আগের মতো নেই। তার চরিত্রবদল হয়ে গেছে। সলিসিটর জেনারেল অভিযোগ করেন, ধর্ষণ-খুনের ৫ দিন পর সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। ততদিনে সব কিছু বদলে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই জানতই না, অভিযুক্তর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। তুষার মেহতা আরও বলেছিলেন, টালা থানার পুলিশকে প্রথমে ফোন করে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় এক মহিলা চিকিৎসককে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ডেপুটি সুপার পরিবারের সদস্যদের ফোন করে বলেন, তাঁদের মেয়ে অসুস্থ। পরে বলা হয় সুইসাইড করেছেন। ঘটনা যেখানে ঘটেছে, সেটা হাসপাতাল। আধিকারিকরা সবাই চিকিৎসক। তাঁরা দেখলেই তো বুঝতে পারবেন, কোনটা অজ্ঞান, কোনটা সুইসাইড আর কোনটা খুন। তাহলে কেন সংজ্ঞাহীন বা সুইসাইড বলা হল? এভাবে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্য কী ছিল? আপত্তি জানিয়ে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, কোনও কিছুই পরিবর্তন করা হয়নি, পুরো ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। এরপর প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলে, ঘটনার তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষণে দেরি করা হয়েছে। খুনের জায়গা থেকে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। গত ২২ অগাস্ট সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সবথেকে বড় যে প্রশ্নটা তুলেছিল, তা হল। ময়নাতদন্তের পর কী করে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগে এফআইআর দায়ের হতে পারে? ঘটনার পর পরই কেন কলেজ কর্তৃপক্ষ FIR করেনি? অধ্যক্ষের তো অবিলম্বে FIR করা উচিত ছিল, তিনি তা করেননি কেন? ইস্তফা দেওয়ার পরই কী করে অধ্যক্ষকে অন্য মেডিক্যাল কলেজে নিয়োগ করা হল?