CBI: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে, ফিরহাদ হাকিম -মদন মিত্রর বাড়িতে CBI
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি, গত ১৯ মার্চ প্রোমোটার অয়ন শীলের সংস্থা ABS ইনফোজোনের সল্টলেকের অফিস থেকে, পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত যে নথি পাওয়া গেছিল, তাতেই নাম ছিল অনেকের।
এরপর ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রয়োজনে FIR দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে CBI। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে ওই মামলা হাইকোর্টে ফেরত পাঠায়। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে এই মামলা বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার মতো এক্ষেত্রেও, হাকিম বদলালেও হুকুম বদলায়নি!!
১২ মে, বিচারপতি অমৃতা সিন্হা জানিয়ে দেন, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে করবে সিবিআই। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এরপর ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার।
কিন্তু সেখানেও ধাক্কা খেতে হয় তাদের। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি, বিচারপতি অপূর্ব সিন্হা এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ। পরে ওই মামলা, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে পাঠান, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে ২০টি পুর কর্তৃপক্ষকে নথি চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছিল ED। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ পুরসভা নথি জমা দিয়েছে। কিন্তু, সূত্রের দাবি, জমা পড়া নথি দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেননি কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকারীরা। এমনকী ৬-৭টি পুরসভা সম্পূর্ণ নথিও জমা দেয়নি বলে এজেন্সি সূত্রের দাবি। সম্প্রতি ED-সূত্রে দাবি করা হয়, বিভিন্ন পুরসভায় অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন, এরকম দেড় হাজারের বেশিজনের নামের তালিকা তৈরি করেছে তারা।
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মতো, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডেও বহু টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, রীতিমতো বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য তৈরি করা হয়েছিল রেটচার্টও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, ৪ থেকে ৭ লক্ষ টাকা দরে বিভিন্ন পুরসভায় দেদার চাকরি বিক্রি হয়েছে! তার মধ্যে যেমন পুরসভায় শ্রমিক, গাড়ির চালক, সাফাইকর্মী, পুরসভার গ্রুপ ডি-র চাকরির দাম ছিল ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা!
গ্রুপ সি-র চাকরির দাম ন্যূনতম ৭ লক্ষ টাকা! পুরসভার টাইপিস্টের চাকরির রেট শুরু ৭ লক্ষ টাকা থেকে!