Cyclone Dana: চোখ রাঙাচ্ছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’, চলছে বৃষ্টি, উত্তাল সমুদ্র, বইছে হাওয়া
ABP Ananda Live: বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পুরীতে। চলছে বৃষ্টি। সমুদ্র উত্তাল, ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সমুদ্র সৈকত পর্যটকশূন্য। দোকানপাট খোলেনি। সমুদ্র তটে লাগানো হাইমাস্ট আলোগুলিকে নামিয়ে আনা হয়েছে। সেখানে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। পুরীতে গতকাল থেকেই হোটেল, লজ খালি করার নির্দেশিকা জারি করেছে ওড়িশা প্রশাসন। ট্রেন বাতিল হওয়ায় বহু পর্যটক পুরীতে আটকে পড়েছেন। তাঁদের ভুবনেশ্বর চলে যেতে বলা হয়েছে, অথবা যে সমস্ত হোটেল বা লজে পর্যটকরা রয়েছেন, সেখানে সমুদ্রমুখী ঘর ছেড়ে পিছনের দিকের ঘরগুলিতে চলে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে ওড়িশায়। ভদ্রক জেলার ধামারা ও কেন্দ্রাপাড়া জেলার ভিতরকণিকার মধ্যে ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা। ভদ্রকের ৮টি ব্লকের মধ্যে ২টি নিচু এলাকা রয়েছে। শুধুমাত্র ভদ্রকেই ৮০ হাজার মানুষকে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। খোলা হয়েছে দেড়শোটি ত্রাণ শিবির। ভদ্রক ও কেন্দ্রাপাড়া ছাড়াও ময়ূরভঞ্জ, বালেশ্বর, জগৎসিংপুর, জাজপুর ও কটকে জারি হয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা। কমলা সতর্কতা রয়েছে পুরী, খুরদা, নয়াগড়, কেওনঝড়, ঢেঙ্কানল জেলায়। সুন্দরগড়, দেওঘর, কান্ধামাল, গঞ্জাম, ঝাড়সুগুদা, সম্বলপুরে জারি রয়েছে হলুদ সতর্কতা। সকাল থেকেই কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। জগৎসিংপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ময়ূরভঞ্জ, কটক, ভদ্রক এবং বালেশ্বর, এই ৬টি জেলায় ৬ জন IAS অফিসারকে পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওড়িশার বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন হয়েছে ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল। ১৪টি জেলায় ৩ দিনের জন্য সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়
বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।