Madan Mitra: ফেসবুক লাইভে বিতর্কিত মন্তব্য মদন মিত্রের

Continues below advertisement

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডকে ঘিরে উত্তাল গোটা বাংলা। শাসকদলের নেতা থেকে প্রাক্তন মন্ত্রী, জড়িয়েে একাধিক প্রভাবশালীর নাম। সেই আবহেই বিতর্কিত মন্তব্য কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra)। তাঁর দাবি, সিপিএম (CPM) কয়েক কোটি বেকার রেখে চলে গিয়েছে। তৃণমূলের লোকজন সিপিএম-এর আমলে চাকরি পাননি। তাই আগামী দিনেও পারলে ফের তৃমমূলর্মীদে চাকরি দেবেন তিনি। ফেসবুক লাইভে এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন মদন। তিনি বলেন, "আমাদের বহু ছেলে সিপিএম-এর ৩৪ বছরে চাকরি পায়নি। কয়েক কোটি বেকার রেখে সিপিএম চলে গিয়েছিল। বেকার কি চিরকাল বেকার থাকবে? নিয়ম-নীতি মেনে, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায়, যোগ্যতমদের বঞ্চিত না করে যদি তৃণমূল কর্মীদের চাকরি দেওয়া হয়, সেটা অন্যায় নয়। আবার চাকরি দেব।" শুধু তাই নয়, "২০০২ থেকে ৩৪ বছর ধরে সিপিএম চাকরি দিয়ে এসেছে। দিল্লিতে বিজেপি একতরফা করে যাচ্ছে। আর তৃণমূলের (TMC) কর্মীরা চাকরি পাবেন না! আমি সুযোগ পেলে আবার তৃণমূলকর্মীদের চাকরি দেব।" মদনের মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "মদনবাবুর কথায় উত্তর দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। হলফনামা দিয়ে তৃণমূল বলেই দিক না! শিক্ষামন্ত্রী তো আরও খারাপ কথা বলেছেন! বলেছেন, আইনি কোটায় যাঁকে খুশি চাকরি দিতে পারেন। অর্থাৎ তৃণমূলের হয়ে যাঁরা মিটিং-মিছিল করে, তাঁদের চাকরি দেবেন। চাকরি তো মিলছে টাকা দিয়ে। এখানে নিয়োগের কী আছে! টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া কি নিয়োগ! লাজ-লজ্জা থাকলে মাথা নিচু করে, কাপড়ে মুখ ঢেকে রাখা উচিত ছিল। আসলে দলে ক্ষমতা প্রমাণ করছে।" বিজেপি (BJP) নেতা রাহুল সিনহা বলেন, সুজন চক্রবর্তী কী ভাবে নিজের দলকে প্রাসঙ্গিক করবেন, সেটা তাঁর ব্যাপার। ৩৪ বছর সিপিএম-কে দেখেছেন মানুষ। তাদের তোষণ-শোষণ দেখেছেন। তাদের থেকে রক্ষা পেতেই তৃণমূলকে আনা হয়। মদন যা বলছেন ঠিকই। নিয়ম-নীতি কী? তৃণমূলের নিয়ম-নীতি, সংস্কৃতি যে, নিজের দলের কর্মীদের থেকে ৮-১০ লক্ষ নিয়ে চাকরি দাও। মেধাকে প্রতারিত করো। সেই কাজই হয়েছে।"

Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram