Panchayet Election: 'পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য স্পষ্ট', অভিযোগ অধীরের

Continues below advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) ঢাকে কাঠি পড়তেই শুরু রাজনৈতিক অস্থিরতা। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ও অনলাইনে মনোনয়ন জমার আবেদন নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি। এদিকে মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিনেই একাধিক জায়গায় উত্তেজনার খবর সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে 'পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য স্পষ্ট' বলে আজ অভিযোগ তোলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। শুধু তা-ই নয়, নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন তিনি। অধীর বলেন, 'ভোট পরিচালিত হবে খোকাবাবুর অফিস থেকে।'

পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই শুরু মনোনয়ন। জেলায় জেলায় মনোনয়ন জমা শুরু হয়েছে। আর মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিনেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে নন্দীগ্রামের হরিপুরে। আজ মিছিল করে মনোনয়ন দিতে আসেন বিজেপি প্রার্থীরা। অভিযোগ, বিডিও অফিসে সেই মিছিল ঢুকলে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বচসা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের সালারে মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। ব্লক সভাপতির অনুগামীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে বিধায়ক অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা ব্লক সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ বিধায়ক অনুগামীদের। দু-পক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে।

আর এই আশঙ্কা থেকেই রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। কংগ্রেস ও বিজেপির আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির এজলাসে হবে শুনানি। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি ও অনলাইনে মনোনয়ন জমার আবেদন জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের শাসকদলকে একহাত নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীর বলেন, যেভাবে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হল, তাতে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য স্পষ্ট। প্রথম রাউন্ডেই বিরোধীদের পরাজিত করার চেষ্টা।" তাঁর প্রশ্ন, "১৫ তারিখের মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে হবে, কেন দুপুর ৩টের মধ্যে জমা দিতে হবে ? কেন রাত পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে না।" অধীরের বক্তব্য, "নমিনেশনের সময় কমিয়ে সঙ্কট তৈরি করল তৃণমূল কংগ্রেস। মনোনয়ন জমা দিতে বিরোধীদের সময় লাগে। ভোট পরিচালিত হবে খোকাবাবুর অফিস থেকে। নির্বাচনে কংগ্রেস অংশ নিতে চায়, ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য সময় দরকার। রাজ্য সরকারের অঙ্গুলিহেলনে চলছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।" 

Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram