RG Kar Doctors Protest: খুলল শিকল, সরল লৌহকপাট। জয়ের শঙ্খধ্বনিতে দ্রোহের কার্নিভাল
ABP Ananda Live: সকাল থেকে, রানি রাসমণি অ্য়াভিনিউকে কার্যত দুর্গ তৈরি করে ফেলেছিল পুলিশ। সাত ফুট উঁচু ব্য়ারিকেড থেকে লোহার মোটা শিকল। দ্রোহের কার্নিভালকে রুখতে পুলিশি আড়ম্বরের বাকি ছিল না কিছুই। কিন্তু দুপুরে হাইকোর্টের নির্দেশ আসতেই মুহূর্তে বদলে গেল ছবিটা! প্রতিবাদকে আটকাতে, তড়িঘড়ি যে পুলিশ ব্য়ারিকেড ও শিকল লাগিয়েছিল, সেই পুলিশই দ্রুত খুলে ফেলল শিকল, সরিয়ে দিল লৌহকপাট! চিকিৎসকদের সঙ্গে এলাকার দখল নিল প্রতিবাদী নাগরিক সমাজ।
মঙ্গলের সন্ধেয় একদিকে যখন রেড রোডে ধুমধাম করে রাজ্য সরকারের পুজো কার্নিভাল চলছে, আরেকদিকে রানি রাসমনি রোডে চিকিৎসকদের ডাকে দ্রোহের কার্নিভালে প্রতিবাদের গর্জন। আর এর মধ্যেই প্রতীকী অনশনকারীর ব্যাজ পরায় রেড রোডের কার্নিভাল থেকে এক কর্তব্যরত সরকারি চিকিৎসককে আটক করার অভিযোগ উঠল। প্রায় চার ঘণ্টা পর সন্ধেয় চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে ছাড়ে ময়দান থানা। এদিন থানা থেকে বেরিয়ে চিকিৎসক তপোব্রত রায় জানান, "রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে ডিউটি ছিল। আমি KMC-র ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেডিক্যাল অফিসার। দুপুর ২টো নাগাদ ডিউটিতে যোগ দিই। একইসঙ্গে IMA-র ডাকা অনশনে অনশনকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছিলাম। প্রতিবাদ স্বরূপ যে ব্যাজ, আমি সেটা পরে আছি। অন ডিউটি অবস্থায় এভাবে অনেকেই হাসপাতালে রয়েছেন। আমি নিজে বিগত কয়েকদিন ধরে এই ব্যাজ পরে ডিউটিও করেছি। ডিউটি চলাকালীন কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক ভাই এসো বলে নিয়ে যান। দর্শকাসনের পিছনে বসিয়ে রাখা হয়। ওখানে বেশ কিছু ছবি তোলা হয়। আমি রেড রোডে কার্নিভালে কেন আছি তা জানতে চাওয়া হয়। কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় আইডি কার্ড এবং পাস দেখাই। অফিসিয়াল ডিউটির কাগজ দেখতে চায়। জানাই তাঁদের আমার চেয়ারের পাশে আছে। গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট জায়গায় গিয়েও আমাকে গাড়ি থেকে নামতে দেওয়া হয়নি। আমার সহকর্মীরা ওখান থেকে ব্যাগ দেয়। আমাকে কিছু জানাননি। শুধু বলে থানায় যেতে হবে। কোন থানায় যেতে হবে তা বলেননি কেউ। ফোন রেখে দিতে বলা হয়। থানায় ঢোকার পর ফোন দিতে বলা হয়। কোনও সিজ় লেটার ছাড়াই সাড়ে ৩ ঘণ্টা রেখে দেয়।''