TMC: 'রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক প্রতিযোগীর নয় সহযোগীর', বললেন ব্রাত্য
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে যে কোনও আর্থিক খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে আচার্য তথা রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করল রাজভবন। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে যখন রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল, তখন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক কার্যকলাপের ওপরে নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজভবন। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আগে আচার্য তথা রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। রাজভবন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ পৌঁছে গেছে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কাজ হচ্ছে, তা রিপোর্ট আকারে, প্রতি সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে, ইমেল করে রাজভবনকে জানাতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন বিধি তৈরি হয়েছিল যে, উপাচার্যরা কেবলমাত্র উচ্চশিক্ষা দফতর মারফৎ রাজভবনের সঙ্গে কথা বলতে পারবে। এদিন রাজভবনের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, উপাচার্যরা যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরাসরি আচার্যের সঙ্গে টেলিফোন অথবা ইমেল মারফৎ কথা বলতে পারবেন। রাজভবনের এই নির্দেশিকা দেখে উচ্চ শিক্ষা দফতর ক্ষুব্ধ। এই ব্যাপারে আইনজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
'রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক প্রতিযোগীর নয় সহযোগীর'
'ইউজিসি-র প্রতিটি সমীক্ষায় রাজ্য উচ্চস্থানে আছে'
'আমরা কোনও দ্বৈরথ চাইনা, সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে চাই'
'মাননীয় রাজ্যপালের সম্মান রেখেই বলব চিঠি যেন প্রত্যাহার করা হয়'
'এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমা ক্ষুণ্ণ হয়, বিশ্ববিদ্যালয় স্বশাসিত সংস্থা'
'রাজ্যপালের চিঠির আইনি বৈধতা নিয়ে সংশয় আছে'
'রাজ্যপাল যা বলতে চান তা পরিষ্কার করে বলুন অথবা কাজে তা প্রকাশ করুন'
' সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়েছে একসঙ্গে কাজ করতে চাই'
' এই চিঠি সেই সাংবাদিক বৈঠকের অভিমুখের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়'
'শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে বলেছি আইনজ্ঞের পরামর্শ নিতে'