Abhishek Banerjee Meeting: দিলীপ ঘোষের বাড়ির লোকেরা গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাচ্ছে, কটাক্ষ অভিষেকের

Continues below advertisement

‘যাঁরা বলছেন এইবার ২০০ পার, তাঁরা এই মাঠে এই জনসভা করে দেখাও। ৩১-এ ৩১ আসন পাওয়ার আগে একটি বুথে পদ্ম ফুটিয়ে দেখাও। বিজেপি নেতাদের মুখে উন্নয়নের কোনও কথা নেই। বিজেপি নেতাদের মুখে শুধু জয় শ্রীরাম স্লোগান আছে। দিল্লির বিজেপি নেতারা বলছেন ডবল ইঞ্জিন সরকার বানাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা ইঞ্জিনের সঙ্গে আগে মোকাবিলা করুন। বিজেপি নেতারা বলছেন কেন্দ্র-রাজ্যে একই সরকার থাকতে হবে। চুরি করতে সুবিধা হবে বলে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন? অমিত শাহ বলছেন তৃণমূলকে উৎখাত করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের হৃদয়ে রয়েছেন, কী করে উৎখাত করবেন? আগামী ৫০ বছর বাংলার মাটিতে তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার মানে ইডি-সিবিআই। নাম করে কথা বলতে পারছেন না অমিত শাহ। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এত ভয় কীসের? আমি বলছি দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, কৈলাস বহিরাগত। আমফানের সময় অমিত শাহকে দেখা যায়নি। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই লাগিয়ে কোনও লাভ হবে না। রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করার কোনও প্রমাণ থাকলে ফাঁসির মঞ্চে উঠব। উন্নয়নের নিরিখে লড়াই করার ক্ষমতা আছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদি কী কাজ করেছেন পরিসংখ্যানের লড়াই হোক। দিলীপ ঘোষ দুর্গাকে অপমান করেছেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যে মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়। বিজেপি নেতারা মহিলাদের সম্মান করতে জানেন না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা বলে লাগাতার আক্রমণ করছে। এই লড়াই মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার লড়াই নয়। এই লড়াই বহিরাগতদের বাংলা থেকে তাড়ানোর লড়াই। বিজেপি আয়ুষ্মান ভারতের কথা বলছে। আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় বাংলার ১০ কোটি মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে বলছেন, ক্ষমতায় এলে কৃষকরা ১৮ হাজার টাকা করে পাবেন। বাংলার মানুষকে কেনা যায় না। প্রতিবছর বাংলা থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। বাংলার মানুষের টাকা নিয়ে যাচ্ছে মোদি সরকার। সেই টাকা নিয়ে আমফানের সময় ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এসে হেলিকপ্টারে ১৫ মিনিট ঘুরে পালিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে রাতের পর রাত জেগে কাটিয়েছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, সারা দেশ করে দেখাতে পারেনি। বাংলা ছাড়া দেশের আরও কোনও রাজ্যে বিনামূল্যে রেশন নেই। আগে গুজরাত সামলাও, পরে সোনার বাংলা বানিও। অমিত শাহ সিএএ নিয়ে মতুয়াদের বিভ্রান্ত করে গেছেন। বলেছেন ভ্যাকসিনেশনের পর সিএএ কার্যকর হবে। মতুয়ারা নাগরিক না হলে তাঁদের ভোটে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হলেন। অমিত শাহ বলছেন বাংলায় অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকেছেন। অরুণাচল, লাদাখে চিন ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে বসে আছে। দেশ থেকে প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারীকে বিতাড়িত করা হোক। ফেক নিউজের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কারা তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল তা এখন স্পষ্ট। এখন দলের স্টিয়ারিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। এবার ২৫০ আসনের থেকে একটি আসনও কম পাবে না তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ুয়াদের ট্যাব থেকে স্কুল ড্রেস দিয়েছেন। বিজেপি পড়ুয়াদের জন্য কী করেছে বলুক। মহিলাদের সম্মান দিতে হবে, বাংলা বিজেপিকে শেখাবে। ভোট শেষ হওয়ার আগে বিজেপিকে জয় সিয়ারাম বলতে হবে। সীতাকে সম্মান করে স্লোগান দিতে হবে বিজেপিকে’, বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

 
Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram