West Bengal Elections 2021: ছত্রধর কোন ওয়াশিং মেশিনে সাদা? মমতাকে পাল্টা কটাক্ষ রাজীবের
যাদের আগে দেশদ্রোহী বলেছিলেন তাঁরাই এখন দলে যোগ দেওয়ায় দেশপ্রেমিক হয়ে গেছে। কারা তাহলে কুসন্তান? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জবাবে কটাক্ষ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি ছত্রধর মাহাতোর তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়েও মমতাকে কটাক্ষ করেন।
আজ বহরমপুরের সভায় দলত্যাগীদের আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘যারা দুর্নীতিগ্রস্ত তাঁরাই দুর্নীতির কাছে নিজেদের বিক্রি করে। মীরজাফর গদ্দারি করেছিল, এখানেও কয়েকজন দুষ্টু গরু আছে। গরু চুরি, কয়লা পাচারে অনেক টাকা করেছে বলে বিজেপিতে। বিজেপি হল ওয়াশিং মেশিন, কালোরা সাদা হয়ে বেরিয়ে আসে। বিজেপি বাংলার দল নয়, দাঙ্গা করার দল। তৃণমূল কংগ্রেস করতে হলে মা-বোনেদের সম্মান করতে হবে। বাংলায় মা-বোনেদের যে সম্মান, তা অন্য কোথাও নেই। মুর্শিদাবাদের মানুষের ভোটে আগামীদিনে সরকার গড়বে তৃণমূল। অনেক মার খেয়েছি, আমি লড়াই করতে ভয় পাই না। বাংলার সরকার গড়তে মুর্শিদাবাদ বড় ভূমিকা পালন করবে। বিজেপির উস্কানিতে কেউ পা দেবেন না। কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে চায় না। সিপিএমও বিজেপির বড় বন্ধু। বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র তৃণমূলই লড়তে পারে। যতক্ষণ বাঁচব রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো বাঁচব। বিজেপির সবথেকে বড় নেতা মিথ্যে বলেন। মোদি এসে বললেন বাংলায় সরকারি কর্মীরা মাইনে পান না। কোন সরকারি কর্মী মাইনে পাননি দেখান মোদিবাবু। কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএনএল, গেইল বন্ধ করে দিচ্ছে কেন? ইতিমধ্যেই ৫৫ লক্ষ কৃষক নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। এ বছর জন থেকে কৃষকরা ৬ হাজার টাকা করে পাবেন। ভাগচাষিরাও ৩ হাজার টাকা করে পাবেন। পরিযায়ী সরকারদের মোদি সরকার কোনও সাহায্য করেনি। দলবদলু চোর-ডাকাতদের চার্টার্ড বিমানে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকদের নিয়ে মোদি সরকার বড়বড় কথা বলছে। কিষাণ সম্মান নিধি নিয়ে মিথ্যে বলছে। বাংলা থেকে কম ধান কেনে কেন্দ্র। বাংলার কৃষকদের বঞ্চিত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলা থেকে মাত্র ৭৬ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনে কেন্দ্র। রাজ্য সরকারই কৃষকদের থেকে ধান কিনবে, চিন্তার কারণ নেই। বিজেপি পার্টি জমিদারদের দল, লুঠ করতে দেব না। নোটবন্দির পর ঘরবন্দি করেছে। এবার জনগনের আদালতে বিজেপিকে বন্দি হতে হবে। গুজরাত বাংলা শাসন করবে না। বাংলাই বাংলা শাসন করবে, তৃণমূলই বাংলা শাসন করবে। মাথার উপর আমি আছি। যদি অন্যায় করে, দল ছাড়ুক, খুশি হব। দুর্নীতি করলে বরদাস্ত করব না। জনগণের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। ত্রিপুরার মানুষ বুঝতে পারছেন, কী ভুল করেছেন। বিজেপি বাংলার মনীষীদের জানে না, বাংলাকে চেনে না।’
মমতার এই আক্রমণেরই জবাব দিলেন রাজীব।