Mamata Shankar Exclusive:'মুম্বইতে অভিনয়ের অফার পেয়েছি প্রচুর, কিন্তু আমি টলিউডেই সাবলীল'

Continues below advertisement

প্রথমবার জন্মদিনে 'শেষের কবিতা' (Sesher Kobita) পেয়েছিলেন উপহারে, পড়েছিলেন। স্বামীর ইচ্ছা ছিল, তাঁকে নিয়ে যেন 'শেষের কবিতা' ছবিটা হয়। আর অভিনেত্রী প্রথম বইটা পড়ার পরেই নিজেকে কল্পনা করেছিলেন লাবণ্যের চরিত্রে। কিন্তু অমিত? সেই সময়ে বসে মমতা শঙ্করের মনে হয়েছিল, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee) ছাড়া এই চরিত্রে কেউই অভিনয় করতে পারবেন না। সময় পেরিয়েছে, বয়স গড়িয়ে গিয়েছে। 'শেষের কবিতা' পর্দায় অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়নি মমতা শঙ্করের (Mamata Shankar)। হঠাৎ একদিন তরুণ পরিচালকের কাছ থেকে সেই স্বপ্নের চরিত্রের অফার পেলে। 'শেষের কবিতা'-র লাবণ্য। কিন্তু কী করে সম্ভব? পরিচালক বোঝালেন, যদি 'শেষের কবিতা'-র গল্পের শেষে ফের দেখা হত অমিত আর লাবণ্যর? সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরেছে 'শেষের গল্প'।

এটি জিৎ চক্রবর্তীর প্রথম ছবি। এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা শঙ্কর বলছেন, ' লাবণ্যর চরিত্রে অভিনয় করা যে কোনও অভিনেত্রীর স্বপ্ন। কিন্তু সৌমিত্রদার সঙ্গে আমি অভিনয় করব এটা কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি। তারপরে প্রায় ৪০ বছর পার হয়ে গিয়েছে। হঠাৎ জিৎ আমাকে 'শেষের গল্প'-এর প্রস্তাব দিল। বলল, গল্পটা এটা নিয়ে যে অমিত আর লাবণ্যের এত বছরে পরে দেখা হয়েছে। আমি প্রথমে চিত্রনাট্য পড়তে চেয়েছিলাম। তারপর রাজি হয়েছিলাম। এত সুন্দরভাবে জিৎ কাজটা করেছিল.. সৌমিত্রদা তখন মাত্র ৪ ঘণ্টা কাজ করেন। সেইটুকু সময়ের মধ্যেই জিৎ খুব ভালোভাবে ওনাকে দিয়ে শ্যুটিংটা করিয়ে নিল। একদিনও বিরক্ত হননি সৌমিত্রদা। আমি ভীষণ ঈশ্বরে বিশ্বাসী। আমার মনে হয় এটা আমার কর্তার ইচ্ছা আর ভগবান আশীর্বাদ। আর জিৎকে আমি ধন্যবাদ দেব এই চরিত্রটা আমায় দেওয়ার জন্য।

এই ছবি মুক্তি পাচ্ছে ক্লিক ওয়েব সাইটে।

Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram